পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আগেই উদ্ধার হয়েছিল পচাগলা ধড়হীন দেহ। এবার ১২ বছরের নাবালকের মাথার খুলি উদ্ধার করল মুম্বই পুলিশ। ধড়হীন দেহ থেকে ১৫-২০ ফুট দূরে খুলি উদ্ধার হয়। মৃত নাবালক ২৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল। ৩৫ দিন পরে তার বিকৃত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ অপহরণের মামলা দায়ের করে নাবালকের খোঁজ শুরু করে। মঙ্গলবার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াদালা এলাকার সামনে ম্যানগ্রোভ থেকে নাবালকদের মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়। পরে তার মাথার খুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাবালকের নাম সন্দীপ যাদব (১২)।
গত ২৮ জানুয়ারি সন্দীপ, বিপুল শিকারি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে ঘরের বাইরে গিয়েছিল। তার পর থেকেই নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপের বাবা বেচাই যাদব, বিপুল শিকারিকে জিজ্ঞাসা করেন, তার ছেলে কোথায়? শিকারি বলে, সে ওই নাবালককে একজন ট্রান্সজেন্ডারের হাতে তুলে দিয়েছে। শিকারিকে মারধর করে স্থানীয়রা, পুলিশ সেই সময় তাকে উদ্ধার করে ওয়াদালা ট্রাক টার্মিনাস থানায় নিয়ে আসে। তার শরীরে লেগে থাকা রক্ত পুলিশ ধুয়ে নিতে বললে সেই সুযোগে পালিয়ে যায় শিকারি। সন্দীপ, যাদব দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন যাদব দম্পতি।
সোমবার ওয়াদালার ক্রিক এলাকার ম্যানগ্রোভ থেকে ধড়হীন দেহ উদ্ধার করে। সন্দীপের জামা-কাপড়, জুতো ও কাদা (শিখরা পরিধান করে) দেখে তার বাবা বেচাই যাদব ছেলের দেহ শনাক্ত করে। খুনি বিপুল শিকারিকে পুলিশ একটি দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে খুনের আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল কিনা। জানা গেছে, শিকারি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার বাসিন্দা, আগেই হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। কোভিডের কারণে প্যারোলে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এই শিকারি মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত।