পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাতভর হামলার পর রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের গাজা অংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইসরাইল। এতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে হামাস রাজি হলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সিএনএনকে জানিয়েছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের উপস্থিতির কারণে গাজার প্রধান লাইফলাইন রাফা ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনের অংশটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফায় আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরাইলি বাহিনী এবার সেখানেও হামলা শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে রাফা থেকে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে মানুষ।
আরব নিউজ ও আল জাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও রাফায় অভিযানের অনুমোদন দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই রাতের অন্ধকারে রাফায় ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি ট্যাংক।
ইসরাইল বলেছে, কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে হামাসের রকেট হামলায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর তারা রাফায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। গত রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা যখন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিল এর ঠিক কিছু সময় পরই ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় আক্রমণ চালায় এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, রাফা ক্রসিং ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমের’ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল এমন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর তা দখল করা হয়েছে। রাফা ক্রসিং এর ‘অপারেশনাল কন্ট্রোল’ অর্জন করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী আরও দাবি, তারা এখানে ২০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।