২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মেড ইন চায়না’ বয়কটের ডাক কেজরিওয়ালের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 109

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চিনা পণ্য বয়কটের আহ্বান জানালেন দেশবাসীকে। কেজরিওয়াল বলেন, এখন সময় এসেছে চিনা পণ্য বয়কট করার। চিনা-পণ্যের পরিবর্তে স্বদেশী পণ্য কিনুন যদি দাম দ্বিগুণ হয় তাহলেও দেশি পণ্য কিনে চিনা পণ্য বয়কট করতে হবে।

আম আদমি পার্টি রাষ্ট্রীয় সমিতির বৈঠক চলাকালীন কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, চিন আমাদের আঁখ দেখাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। অথচ কেন্দ্র সরকার জানাচ্ছে ‘সব কুছ ঠিক হ্যায়’। সীমান্তে ছোট বড় হামলা চালালো চিন আমাদের জওয়ানরা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে।

আরও পড়ুন: প্রস্তুতকারকরা তাদের পণ্যে ওআরএস তকমা ব্যবহার করতে পারবে না: সাফ জানাল FSSAI

 

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

অনেকে চিনের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণও হারিয়েছেন। এইসব সত্ত্বেও খবর পাওয়া যাচ্ছে সরকার বলছে সব ঠিক আছে। মিডিয়াও বলছে সব ঠিক আছে। চিনকে কড়া জবাব দেওয়ার পরিবর্তে মোদি সরকার তাদের ‘ইনাম’ দিতে চাইছে। তাদের কাছ থেকে আরও বেশি পণ্য কেনা হচ্ছে। কেজরিওয়াল তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০২০-২১ সালে আমরা চিন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করেছিলাম তার মূল্য ছিল ৬৫ বিলিয়ন।

আরও পড়ুন: Interim PM Sushila Karki-কে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদির

 

২০২১-২২ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৯৫ বিলিয়ান। চিন আগ্রাসন চালাচ্ছে সীমান্তে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে আর মোদি সরকার তাদের ইনাম দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এখন এমনকী জুতো, চপ্পল, চশমা, কাপড় চিন থেকে কিনছে ভারত। এসব কি ভারতে তৈরি করা যায় না? কেন্দ্র সরকার উদ্যোগপতিদের পিছনে ইডি সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা এদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদেরকে ফিরিয়ে আনুন।

 

উৎপাদন বাড়াতে বলুন তাহলে একদিন চিনকে আমরা পণ্য পাঠাতে পারবো বলে কটাক্ষ করেন কেজরিওয়াল। ইতিপূর্বেও কেজরিওয়াল চিনা পণ্য বয়কটের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চিনের পণ্য বয়কট হলে কমপক্ষে একটা বার্তা দিতে পারবে ভারতের মানুষ। সরকার যখন কিছু করছে না তখন জনসাধারণ এই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিক। আর এর ফলে দেশে পণ্য উৎপাদন বাড়বে। দেশে রোজগার আরও বাড়বে।

 

উল্লেখ্য সীমান্তে চিনা হামলা ও আগ্রাসন নিয়ে কংগ্রেস একাই মোদি সরকারের সমালোচনা করছিল। রাহুল গান্ধি প্রায় প্রতিদিনই সরকারের নীরবতার সমালোচনা করছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গেও কেন্দ্রীয় সরকারকে চিনের আগ্রাসন নিয়ে আরও তৎপর হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কংগ্রেসের সেই বিরোধিতার সঙ্গে এবার যুক্ত হলো আম আদমি পার্টির আরও জোরালো প্রতিবাদ চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন কেজরিওয়াল।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘মেড ইন চায়না’ বয়কটের ডাক কেজরিওয়ালের

আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চিনা পণ্য বয়কটের আহ্বান জানালেন দেশবাসীকে। কেজরিওয়াল বলেন, এখন সময় এসেছে চিনা পণ্য বয়কট করার। চিনা-পণ্যের পরিবর্তে স্বদেশী পণ্য কিনুন যদি দাম দ্বিগুণ হয় তাহলেও দেশি পণ্য কিনে চিনা পণ্য বয়কট করতে হবে।

আম আদমি পার্টি রাষ্ট্রীয় সমিতির বৈঠক চলাকালীন কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, চিন আমাদের আঁখ দেখাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। অথচ কেন্দ্র সরকার জানাচ্ছে ‘সব কুছ ঠিক হ্যায়’। সীমান্তে ছোট বড় হামলা চালালো চিন আমাদের জওয়ানরা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে।

আরও পড়ুন: প্রস্তুতকারকরা তাদের পণ্যে ওআরএস তকমা ব্যবহার করতে পারবে না: সাফ জানাল FSSAI

 

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

অনেকে চিনের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণও হারিয়েছেন। এইসব সত্ত্বেও খবর পাওয়া যাচ্ছে সরকার বলছে সব ঠিক আছে। মিডিয়াও বলছে সব ঠিক আছে। চিনকে কড়া জবাব দেওয়ার পরিবর্তে মোদি সরকার তাদের ‘ইনাম’ দিতে চাইছে। তাদের কাছ থেকে আরও বেশি পণ্য কেনা হচ্ছে। কেজরিওয়াল তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০২০-২১ সালে আমরা চিন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করেছিলাম তার মূল্য ছিল ৬৫ বিলিয়ন।

আরও পড়ুন: Interim PM Sushila Karki-কে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদির

 

২০২১-২২ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৯৫ বিলিয়ান। চিন আগ্রাসন চালাচ্ছে সীমান্তে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে আর মোদি সরকার তাদের ইনাম দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এখন এমনকী জুতো, চপ্পল, চশমা, কাপড় চিন থেকে কিনছে ভারত। এসব কি ভারতে তৈরি করা যায় না? কেন্দ্র সরকার উদ্যোগপতিদের পিছনে ইডি সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা এদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদেরকে ফিরিয়ে আনুন।

 

উৎপাদন বাড়াতে বলুন তাহলে একদিন চিনকে আমরা পণ্য পাঠাতে পারবো বলে কটাক্ষ করেন কেজরিওয়াল। ইতিপূর্বেও কেজরিওয়াল চিনা পণ্য বয়কটের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চিনের পণ্য বয়কট হলে কমপক্ষে একটা বার্তা দিতে পারবে ভারতের মানুষ। সরকার যখন কিছু করছে না তখন জনসাধারণ এই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিক। আর এর ফলে দেশে পণ্য উৎপাদন বাড়বে। দেশে রোজগার আরও বাড়বে।

 

উল্লেখ্য সীমান্তে চিনা হামলা ও আগ্রাসন নিয়ে কংগ্রেস একাই মোদি সরকারের সমালোচনা করছিল। রাহুল গান্ধি প্রায় প্রতিদিনই সরকারের নীরবতার সমালোচনা করছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গেও কেন্দ্রীয় সরকারকে চিনের আগ্রাসন নিয়ে আরও তৎপর হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কংগ্রেসের সেই বিরোধিতার সঙ্গে এবার যুক্ত হলো আম আদমি পার্টির আরও জোরালো প্রতিবাদ চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন কেজরিওয়াল।