০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেরার সময় হৃদরোগে মৃত্যু ! সাব ইনস্পেক্টর আফতাবের প্রয়াণে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট কলকাতা পুলিশের

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার
  • / 82

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শিশু অপহরণ মামলায় অভিযুক্তকে জেরা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সাব ইনস্পেক্টর উল্টোডাঙা থানার এসআই-কে তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাও শেষরক্ষা হয়নি। অষ্টমীর ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আফতাবের। অভিযোগ, রাস্তায় ভিড় থাকার ফলে সময়মতো ওই পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলেই প্রাণহানি।

শনিবার কলকাতা পুলিশ আফতাবের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে সব ইন্সপেক্টর আফতাব আহমেদ, আমাদের সহকর্মী। তিনি উল্টোডাঙা থানার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। ১৩ অক্টোবর অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪১ বছর। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী ও সুই সন্তান।

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

আফতাব পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন ২০০৮ সালে। সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন,  গার্ডেনরিচ, নারকেলডাঙ্গা ও এন্টালি থানায়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ অফিসার। তাঁর সর্বশেষ পোস্টিং ছিল উল্টোডাঙা থানায়।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

সহযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতা পুলিশ ফেসবুকে লিখেছে, কিছু ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। আফতাবের  অকালপ্রয়াণ কলকাতা পুলিশের কাছে তেমনই। আফতাবের আত্মা শান্তি পাক। প্রয়াত সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত  পরিবারের পাশে আমরা আছি বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। 

আরও পড়ুন: বাজি পোড়ানোর জন্য সময় বেঁধে দিল কলকাতা পুলিশ, নিয়ম না মানলেই শাস্তি

অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রচণ্ড ঘামছিলেন আফতাব । তড়িঘড়ি ওসি তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন।  রাস্তায় উৎসবমুখর জনতার ভিড় ছিল যথেষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও সাব ইনস্পেক্টরকে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্থিতিশীল বলেই জানান। রাতেই ঘটে অঘটন। গভীর রাতে একাধিকবার ওই পুলিশ আধিকারিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভোর ৪টে ২০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের দাবি, সাব ইনস্পেক্টর আফতাব আহমেদ ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলেন। তাঁর একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। তাই নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সে কারণে এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, নিখোঁজ ওই শিশুকন্যাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জেরার সময় হৃদরোগে মৃত্যু ! সাব ইনস্পেক্টর আফতাবের প্রয়াণে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট কলকাতা পুলিশের

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শিশু অপহরণ মামলায় অভিযুক্তকে জেরা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সাব ইনস্পেক্টর উল্টোডাঙা থানার এসআই-কে তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাও শেষরক্ষা হয়নি। অষ্টমীর ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আফতাবের। অভিযোগ, রাস্তায় ভিড় থাকার ফলে সময়মতো ওই পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলেই প্রাণহানি।

শনিবার কলকাতা পুলিশ আফতাবের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে সব ইন্সপেক্টর আফতাব আহমেদ, আমাদের সহকর্মী। তিনি উল্টোডাঙা থানার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। ১৩ অক্টোবর অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪১ বছর। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী ও সুই সন্তান।

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

আফতাব পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন ২০০৮ সালে। সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন,  গার্ডেনরিচ, নারকেলডাঙ্গা ও এন্টালি থানায়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ অফিসার। তাঁর সর্বশেষ পোস্টিং ছিল উল্টোডাঙা থানায়।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

সহযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতা পুলিশ ফেসবুকে লিখেছে, কিছু ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। আফতাবের  অকালপ্রয়াণ কলকাতা পুলিশের কাছে তেমনই। আফতাবের আত্মা শান্তি পাক। প্রয়াত সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত  পরিবারের পাশে আমরা আছি বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। 

আরও পড়ুন: বাজি পোড়ানোর জন্য সময় বেঁধে দিল কলকাতা পুলিশ, নিয়ম না মানলেই শাস্তি

অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রচণ্ড ঘামছিলেন আফতাব । তড়িঘড়ি ওসি তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন।  রাস্তায় উৎসবমুখর জনতার ভিড় ছিল যথেষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও সাব ইনস্পেক্টরকে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্থিতিশীল বলেই জানান। রাতেই ঘটে অঘটন। গভীর রাতে একাধিকবার ওই পুলিশ আধিকারিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভোর ৪টে ২০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের দাবি, সাব ইনস্পেক্টর আফতাব আহমেদ ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলেন। তাঁর একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। তাই নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সে কারণে এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, নিখোঁজ ওই শিশুকন্যাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।