১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের বড় শহরগুলিতে ফ্ল্যাট কেনার সামর্থ্য নেই মধ্যবিত্তের, উদ্বেগ রাহুলের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 105

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দেশে, বিশেষ করে বড় শহরগুলিতে বাড়ির ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে গরিব মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। এমনকী তাদের স্বপ্ন দেখার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি!

আম আদমি সুফল না পেলেও মোদি সরকারের ভিতরে-বাইরে প্রচার চলছে জোরকদমে। রাজ্যে রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই প্রচার আরও বাড়বে। কিন্তু তারপরও কি পরিসংখ্যান বা সমীক্ষাকে অগ্রাহ্য করা যায়? সংসার খরচ, সঞ্চয়ে ঘাটতি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আয় নিয়ে উদ্বেগ। এটাই এখন নতুন ভারতের আম আদমির ভাবনার ভরকেন্দ্র। সেই উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা রিপোর্টেও। সিংহভাগ মানুষই জীবনযাপনের ক্ষেত্রে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। রাহুলের মন্তব্য সেই কথাই তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাহুল-মহুয়াদের হেনস্থা, প্রতিবাদে রাজভবন অভিযান কংগ্রেসের

তার এক মন্তব্যে তিনি মুম্বইয়ের আবাসন পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মুম্বইতে একটি বাড়ি কিনতে হলে মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ধনী পরিবারকেও তাদের আয়ের ৩০ শতাংশ করে ১০৯ বছর ধরে সঞ্চয় করতে হবে। তিনি এই বিষয়টিকে অবিশ্বাস্য বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন এবং যদি বিশ্বাস না হয়, তাহলে আবার বলি মুম্বইতে একটি বাড়ি কিনতে, ভারতের এমনকী সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশ মানুষকেও তাদের আয়ের ৩০ শতাংশ ১০৯ বছর ধরে সঞ্চয় করতে হবে!

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে মোদিকে চিঠি রাহুলের

রাহুল গান্ধি তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন যে দেশের বেশিরভাগ বড় শহরে এই একই অবস্থা, যেখানে আপনি সুযোগ ও সাফল্যের সন্ধানে কঠোর পরিশ্রম করেন সেখানে এত সঞ্চয় আসবে কোথা থেকে? তিনি আরও বলেন যে, গরিব ও মধ্যবিত্তের উত্তরাধিকার সম্পদ নয়, বরং দায়িত্ব। যেমন সন্তানদের ব্যয়বহুল শিক্ষা, ব্যয়বহুল চিকিৎসার চিন্তা, বাবা-মায়ের দায়িত্ব বা পরিবারের জন্য একটি ছোট গাড়ির ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রতিবাদে ৯ জুলাই বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-র ‘বনধ’, বনধে সামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, তবুও সবার হৃদয়ে একটি স্বপ্ন থাকে। ‘একদিন’ আমাদের নিজেদের একটি বাড়ি হবে! কিন্তু যখন সেই ‘একদিন’ ধনীদের জন্যও ১০৯ বছর দূরে, তখন বুঝুন যে গরিবদের তাদের স্বপ্ন দেখার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। রাহুল জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্রতিটি পরিবারের জন্য চার দেওয়াল এবং মাথার উপর একটি ছাদ দরকার।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এর খরচ আপনার সারাজীবনের কঠোর পরিশ্রম এবং সঞ্চয়ের থেকেও বেশি। শেষে তিনি মন্তব্য করেছেন, পরের বার যখন কেউ আপনাকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিসংখ্যান শোনাবে, তখন তাদের আপনার পারিবারিক বাজেটের বাস্তবতা দেখান এবং জিজ্ঞাসা করুন, এই অর্থনীতি কার জন্য? পরিসংখ্যান দিয়ে কি বাড়ি কেনা যায় নাকি পেট ভরে!

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশের বড় শহরগুলিতে ফ্ল্যাট কেনার সামর্থ্য নেই মধ্যবিত্তের, উদ্বেগ রাহুলের

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দেশে, বিশেষ করে বড় শহরগুলিতে বাড়ির ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে গরিব মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। এমনকী তাদের স্বপ্ন দেখার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি!

আম আদমি সুফল না পেলেও মোদি সরকারের ভিতরে-বাইরে প্রচার চলছে জোরকদমে। রাজ্যে রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই প্রচার আরও বাড়বে। কিন্তু তারপরও কি পরিসংখ্যান বা সমীক্ষাকে অগ্রাহ্য করা যায়? সংসার খরচ, সঞ্চয়ে ঘাটতি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আয় নিয়ে উদ্বেগ। এটাই এখন নতুন ভারতের আম আদমির ভাবনার ভরকেন্দ্র। সেই উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা রিপোর্টেও। সিংহভাগ মানুষই জীবনযাপনের ক্ষেত্রে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। রাহুলের মন্তব্য সেই কথাই তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাহুল-মহুয়াদের হেনস্থা, প্রতিবাদে রাজভবন অভিযান কংগ্রেসের

তার এক মন্তব্যে তিনি মুম্বইয়ের আবাসন পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মুম্বইতে একটি বাড়ি কিনতে হলে মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ধনী পরিবারকেও তাদের আয়ের ৩০ শতাংশ করে ১০৯ বছর ধরে সঞ্চয় করতে হবে। তিনি এই বিষয়টিকে অবিশ্বাস্য বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন এবং যদি বিশ্বাস না হয়, তাহলে আবার বলি মুম্বইতে একটি বাড়ি কিনতে, ভারতের এমনকী সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশ মানুষকেও তাদের আয়ের ৩০ শতাংশ ১০৯ বছর ধরে সঞ্চয় করতে হবে!

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে মোদিকে চিঠি রাহুলের

রাহুল গান্ধি তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন যে দেশের বেশিরভাগ বড় শহরে এই একই অবস্থা, যেখানে আপনি সুযোগ ও সাফল্যের সন্ধানে কঠোর পরিশ্রম করেন সেখানে এত সঞ্চয় আসবে কোথা থেকে? তিনি আরও বলেন যে, গরিব ও মধ্যবিত্তের উত্তরাধিকার সম্পদ নয়, বরং দায়িত্ব। যেমন সন্তানদের ব্যয়বহুল শিক্ষা, ব্যয়বহুল চিকিৎসার চিন্তা, বাবা-মায়ের দায়িত্ব বা পরিবারের জন্য একটি ছোট গাড়ির ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রতিবাদে ৯ জুলাই বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-র ‘বনধ’, বনধে সামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, তবুও সবার হৃদয়ে একটি স্বপ্ন থাকে। ‘একদিন’ আমাদের নিজেদের একটি বাড়ি হবে! কিন্তু যখন সেই ‘একদিন’ ধনীদের জন্যও ১০৯ বছর দূরে, তখন বুঝুন যে গরিবদের তাদের স্বপ্ন দেখার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। রাহুল জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্রতিটি পরিবারের জন্য চার দেওয়াল এবং মাথার উপর একটি ছাদ দরকার।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এর খরচ আপনার সারাজীবনের কঠোর পরিশ্রম এবং সঞ্চয়ের থেকেও বেশি। শেষে তিনি মন্তব্য করেছেন, পরের বার যখন কেউ আপনাকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিসংখ্যান শোনাবে, তখন তাদের আপনার পারিবারিক বাজেটের বাস্তবতা দেখান এবং জিজ্ঞাসা করুন, এই অর্থনীতি কার জন্য? পরিসংখ্যান দিয়ে কি বাড়ি কেনা যায় নাকি পেট ভরে!