০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠকে আমন্ত্রণ পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান!

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার
  • / 17

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তালিবান শাসন নিয়ে চাপে পড়েছে ভারত। রাজনীতি ও কূটনীতিকে একসঙ্গে সামলানো এই মুহূর্তে নয়াদিল্লির জন্য খানিকটা চাপের হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন অনেকেই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠকে চিন ,পাকিস্তান ও রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় ভারত। দিল্লিতে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা করতেই বসবে সেই বৈঠক। নভেম্বরে সেই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ১০ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর, দুটি দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর,  ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফকে। একদিকে যখন সীমান্তে অস্থিরতা তুঙ্গে, বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর সামনে আসছে, তখন ভারতের এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও দিল্লি মনে করছে, শান্তি স্থাপনে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার ও নিরাপত্তা, উভয় ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হবে এই বৈঠকে। আগামী ২০ অক্টোবর রাশিয়ার মস্কোতে আয়োজিত মস্কো ফরম্যাট মিটিং-এ যোগ দেবে ভারত। সেখানও আফগানিস্তান নিয়েই আলোচনা হবে ।

গত ৩১ অগস্ট তালিবানের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসেছিল ভারত। কাতারের দোহায় ভারত-তালিবানের মধ্যে বৈঠক হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। তালিবানের পক্ষ থেকে নেতা আব্বাস স্তানিকজাইয়ের উপস্থিতি ছিল সেই বৈঠকে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে তালিবানকে বেশ কয়েকটি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

২০১৮ সালে মস্কোতে তালিবানের সঙ্গে ‘বেসরকারি পর্যায়ে’ এক বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। অবসরপ্রাপ্ত বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক টি সি এ রাঘাবণ এবং অমর সিনহা ওই বৈঠকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। পাঁচ সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই, যিনি বর্তমানে আফগানিস্তানের উপবিদেশ মন্ত্রী।

তালিবানের তরফে বারবার বলা হয়েছে তারা নতুন করে আফগানিস্তান গড়তে চায়। সামনে ইউপি ভোট। তালিবানকে এই মুহূর্তে সমর্থন করে দিলে রাজনৈতিকভাবে তা ভালোভাবে নাও নিতে পারে বিজেপি সমর্থকরা। আর সমর্থন না করলেও সমস্যা। বহু টাকার বিনিয়োগ রয়েছে সেখানে। ফলে ধীরে চলো নীতি নেওয়া ছাড়া নয়া দিল্লির হাতে তেমন উপায় নেই। এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠকে আমন্ত্রণ পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান!

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তালিবান শাসন নিয়ে চাপে পড়েছে ভারত। রাজনীতি ও কূটনীতিকে একসঙ্গে সামলানো এই মুহূর্তে নয়াদিল্লির জন্য খানিকটা চাপের হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন অনেকেই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠকে চিন ,পাকিস্তান ও রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় ভারত। দিল্লিতে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা করতেই বসবে সেই বৈঠক। নভেম্বরে সেই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ১০ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর, দুটি দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর,  ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফকে। একদিকে যখন সীমান্তে অস্থিরতা তুঙ্গে, বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর সামনে আসছে, তখন ভারতের এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও দিল্লি মনে করছে, শান্তি স্থাপনে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার ও নিরাপত্তা, উভয় ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হবে এই বৈঠকে। আগামী ২০ অক্টোবর রাশিয়ার মস্কোতে আয়োজিত মস্কো ফরম্যাট মিটিং-এ যোগ দেবে ভারত। সেখানও আফগানিস্তান নিয়েই আলোচনা হবে ।

গত ৩১ অগস্ট তালিবানের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসেছিল ভারত। কাতারের দোহায় ভারত-তালিবানের মধ্যে বৈঠক হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। তালিবানের পক্ষ থেকে নেতা আব্বাস স্তানিকজাইয়ের উপস্থিতি ছিল সেই বৈঠকে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে তালিবানকে বেশ কয়েকটি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

২০১৮ সালে মস্কোতে তালিবানের সঙ্গে ‘বেসরকারি পর্যায়ে’ এক বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। অবসরপ্রাপ্ত বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক টি সি এ রাঘাবণ এবং অমর সিনহা ওই বৈঠকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। পাঁচ সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই, যিনি বর্তমানে আফগানিস্তানের উপবিদেশ মন্ত্রী।

তালিবানের তরফে বারবার বলা হয়েছে তারা নতুন করে আফগানিস্তান গড়তে চায়। সামনে ইউপি ভোট। তালিবানকে এই মুহূর্তে সমর্থন করে দিলে রাজনৈতিকভাবে তা ভালোভাবে নাও নিতে পারে বিজেপি সমর্থকরা। আর সমর্থন না করলেও সমস্যা। বহু টাকার বিনিয়োগ রয়েছে সেখানে। ফলে ধীরে চলো নীতি নেওয়া ছাড়া নয়া দিল্লির হাতে তেমন উপায় নেই। এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা।