উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : চিকিৎসকের অভাবে বহির্বিভাগ বিভাগের পরিষেবা বন্ধ, সমস্যায় সাধারণ মানুষ।জয়নগরের গোচরণ লাগোয়া বারুইপুরের পাঁচগাছিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাবে ইন্ডোর বিভাগের পরিষেবা বন্ধ থাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে। ঝাঁ চকচকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রয়েছে ১০টি বেড। সুবন্দোবস্ত থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইন্ডোর পরিষেবা।অভিযোগ গত তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এটি। ফলে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে চরমে।
১২ কিলো মিটার দূরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে তাঁদের।আর এমন চিত্রই উঠে এলো বারুইপুর ব্লকের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচগাছিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। অভিযোগ,বার বার প্রশাসনের সব স্তরে জানানোর পরে ও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে কোনও নজর দেওয়া হয়নি।আর জয়নগরের গোচরণ মোড় থেকে বারুইপুরে যাওয়ার পথে কুলপি রোডের পাশেই এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
২০১৫ সালে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন করে সংস্কার করা হয়েছিল। কয়েক বছর আগেও ইন্ডোর পরিষেবা ভালো ভাবেই চালু ছিল। এখন শুধু আউটডোর পরিষেবাটুকু চালু আছে।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর বারুইপুর ব্লকের নবগ্রাম, ধপধপি ১, ধপধপি ২, শংকরপুর ১, শংকরপুর ২ এবং জয়নগর ১ নং ব্লকের নারায়নীতলা,খাকুড়দহ, জাঙ্গালিয়া ও ধোসা চন্দনেশ্বর পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আউট ডোর পরিষেবায় একজন মাত্র চিকিৎসক থাকেন।
রোগীদের এত ভিড় হয় নাস্তানুবুদ অবস্থা। অল্প কিছু হলেই আমাদের ১২ কিলো মিটার দূরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটতে হয়।এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য পার্থসারথী দাস বলেন, তিন বছর ধরে ইন্ডোর পরিষেবা বন্ধ আছে। আগে দুই জন চিকিৎসক, ৬ জন নার্স দিয়ে এই পরিষেবা চলতো। মহিলা ওয়ার্ডে ৫টি বেড, পুরুষ ওয়ার্ডে ৫টি বেড আছে।
এই ইন্ডোর পরিষেবা চালু হলে অনেক মানুষের উপকার হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সুত্রে খবর, আউটডোরে একজন নার্স, একজন ফার্মাসিস্ট, একটা সুইপার রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষ্কার রাখার দায়িত্বে ৩ জন মহিলা রয়েছেন। অভিযোগ, আড়াই বছর ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসিন্দারা বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ইণ্ডোর পরিষেবা বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছে।আর অবিলম্বে প্রশাসনের দেখা উচিৎ বিষয়টিকে। যেখানে গ্রাম বাংলার মানুষ নির্ভরশীল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে।