পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: টনক নড়ল। তবে দেরি করে। অনেকটা চোর পালিয়ে বুদ্ধি বাড়ার মত করে। অশান্তি আর হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। বেসরকারি মতে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মণিপুরবাসীর। একমাসে মেইতেই ও কুকি জাতির সংঘর্ষে গোটা মণিপুর লণ্ডভন্ড হয়েছে। সেই সময় বিদেশ সফরে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে সংসদ ভবনের ‘ফিতে কেটে’ রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে এক মাস বাদে রুটিন মেনে হিংসাবিদ্ধস্থ মণিপুরে ৪ দিনের সফরে গেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার দিল্লি ফিরে আসার আগে সাংবাদিক সম্মেল করে শান্তি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মণিপুরের হিংসার কারণ জানতে ও সামাধান সূত্র বের করেতে গঠন করা হচ্ছে শান্তি কমিটি। অমিত শাহ জানান, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হবে। সংরক্ষণ নিয়ে মণিপুরে যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার কারণ খোঁজার ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ দলকে। সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবে এই কমিটি।
শাহ বলেন, মণিপুরে হিংসার ঘটনা নিয়ে একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এই তদন্তকারী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় তৈরির জন্য একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সিআরপিএফের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি কুলদীপ সিং।
এদিন বদল করা হল পুলিশ প্রধানও। ত্রিপুরা ক্যাডারের আইপিএস অফিসার রাজীব সিংকে মণিপুরের নতুন ডিজিপি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। আগে মণিপুরের ডিজিপি ছিলেন পি দোঙ্গেল। তাঁকে বদলি করে স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো হয়েছে।
এদিন নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ। মণিপুরবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার কথাও বলেন।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। তার জেরেই হিংসা ছড়িয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র থাকলে তা পুলিশের কাছে সমর্পণ করতে বলে অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেন- ‘আগামিকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হবে। সেই সময় যদি কারোর কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কেন্দ্র চাইছে মণিপুরে অঅপাতত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে। ষদিও বৃহস্পতিবার এই নিয়ে মুখ খোলেনেনি শাহ। মনে করা হচ্ছে দিল্লি ফেরার পর এই নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মণিপুরে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ ঘরছাড়া। অগুণতি মানুষের মৃত্যু হলেও সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ৮০ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়েছে।