উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: এবছর কড়া ঠান্ডায় সুন্দরবনে বেড়েছে মধুর উৎপাদন। আর সুন্দরবনের এই মধু সংগ্রহের পরে তা পাঠানো হয় বনফুল অ্যাগ্রো প্রডিউসার কোম্পানিতে। সেখানেই মধুকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বোতলজাত করে বাজারে পাঠানো হয়। এবছর জাঁকিয়ে শীত পড়েছিলো। এর প্রভাব পড়েছে মধু উৎপাদনে। মধু ব্যবসায়ীদের দাবি, লম্বা সময় ধরে ভাল ঠান্ডা থাকায় এবার মধুর উৎপাদন ভাল হয়েছে।সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে মৌমাছি পালনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষ বাক্সে মৌমাছি পালন করে আয় করছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালি, রায়দীঘি ও কুলতলিতে বন দফতরের সহযোগিতায় মৌমাছি পালন হয়।
বন দফতর সূত্রের খবর, শীতকালে মূলত সর্ষে ফুলের মধু মেলে। এবার ঠিক মত ঠান্ডা পড়ায় ফুলের চাষ ভাল হয়েছে। তার জেরে বেড়েছে মধুর উৎপাদন। এবারে শুধু কুলতলি এলাকাতেই হাজারের ওপর বাক্স বসানো হয়েছিল। তা থেকে ২০০ কুইন্টাল মধু মিলেছে। কুলতলির এক মৌচাষি বলেন, এবার মরসুমে ভাল মধু মিলেছে। এখানকার এই মধু সংগ্রহের পরে তা পাঠানো হয় বনফুল অ্যাগ্রো প্রডিউসার কোম্পানিতে। সেখানেই মধুকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাচের বোতলের মাধ্যমে প্যাকেজিং করে বাজার জাত করা হয়। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রলয় কুমার সামন্ত বলেন, শীতে সর্ষের মধু ভাল পাওয়া যায়। এবার ২০০ কুইন্টালের বেশি মধু মিলেছে। কুলতলির চাষিরা এ ব্যাপারে বলেন, সর্ষে খেতে মেড়ো নামের এক ধরনের পোকা হয়। সেই পোকার দাপাদাপিতে মৌমাছিরা সর্ষে খেতে ঘুরতে পারে না।আর তার প্রভাব পড়ে এই মধুর উৎপাদনে। কিন্তু এবারে চড়া ঠান্ডায় মেড়ো পোকার উপদ্রব কম ছিলো। আর সুন্দরবনের এই মধু এখন সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।