০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি বাধা না হলে সামনের মাসেই উদ্বোধন টালা ব্রিজের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 62

পুবের কলম প্রতিবেদক: বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে পুজোর আগেই খুলে যাবে টালা ব্রিজ। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই উদ্বোধন হতে চলেছে এই সেতু। বৃহস্পতিবার ব্রিজ পরিদর্শনে এমনটাই জানিয়েছেন বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা, নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিক সহ পূর্ত দফতর এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা।

প্রায় ৮০০ মিটার লম্বা নতুন টালা রেলওভার ব্রিজের ২৪০ মিটার পুরোপুরি রেলপথের উপরে রয়েছে। এই অংশে কোনও স্তম্ভ বা পিলার নেই। দ্বিতীয় হুগলী সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতুর মতো এখানে কেবল তারে ঝোলানো সেতু হয়েছে। পুরোটাই কেবল স্টেড। দুইদিকে দুটি করে মোট চারটি স্তম্ভ থাকবে। অ্যাপ্রোচ রোডে মোট বারোটি স্তম্ভ বা পিলার রয়েছে। সেতুটি হয়েছে চার লেনের। সিথি, বরানগর ডানলপ সহ কলকাতার শহরতলী এলাকা থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে ঢোকার পথ প্রশস্থ করবে। ব্রিজের কাজ সম্পর্কে এবং আনুষঙ্গিক কাজ নিয়ে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ ও পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

আরও পড়ুন: নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে…….

 

আরও পড়ুন: সময়ের আগেই দেশে বর্ষার প্রবেশ জানাল মৌসম ভবন

২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে রাজ্য সরকার। সেই সময় টালা সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা পূর্ত দফতরকে জানায়, সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ভেঙে নতুন সেতু তৈরি করার প্রস্তাব দেন তাঁরা। এরপর ২০১৯ সালের পুজোর আগে পুরনো টালা ব্রিজের যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! বজ্রবিদ্যুৎসহ  ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

ব্রিজ তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পুরো টাকাটাই এসেছে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার টার্গেট থাকলেও অতিমারির প্রকোপে পিছিয়ে যায় কাজ। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সামনের মাসেই খুলতে চলেছে টালা ব্রিজ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বৃষ্টি বাধা না হলে সামনের মাসেই উদ্বোধন টালা ব্রিজের

আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে পুজোর আগেই খুলে যাবে টালা ব্রিজ। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই উদ্বোধন হতে চলেছে এই সেতু। বৃহস্পতিবার ব্রিজ পরিদর্শনে এমনটাই জানিয়েছেন বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা, নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিক সহ পূর্ত দফতর এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা।

প্রায় ৮০০ মিটার লম্বা নতুন টালা রেলওভার ব্রিজের ২৪০ মিটার পুরোপুরি রেলপথের উপরে রয়েছে। এই অংশে কোনও স্তম্ভ বা পিলার নেই। দ্বিতীয় হুগলী সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতুর মতো এখানে কেবল তারে ঝোলানো সেতু হয়েছে। পুরোটাই কেবল স্টেড। দুইদিকে দুটি করে মোট চারটি স্তম্ভ থাকবে। অ্যাপ্রোচ রোডে মোট বারোটি স্তম্ভ বা পিলার রয়েছে। সেতুটি হয়েছে চার লেনের। সিথি, বরানগর ডানলপ সহ কলকাতার শহরতলী এলাকা থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে ঢোকার পথ প্রশস্থ করবে। ব্রিজের কাজ সম্পর্কে এবং আনুষঙ্গিক কাজ নিয়ে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ ও পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

আরও পড়ুন: নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে…….

 

আরও পড়ুন: সময়ের আগেই দেশে বর্ষার প্রবেশ জানাল মৌসম ভবন

২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে রাজ্য সরকার। সেই সময় টালা সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা পূর্ত দফতরকে জানায়, সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ভেঙে নতুন সেতু তৈরি করার প্রস্তাব দেন তাঁরা। এরপর ২০১৯ সালের পুজোর আগে পুরনো টালা ব্রিজের যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! বজ্রবিদ্যুৎসহ  ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

ব্রিজ তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পুরো টাকাটাই এসেছে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার টার্গেট থাকলেও অতিমারির প্রকোপে পিছিয়ে যায় কাজ। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সামনের মাসেই খুলতে চলেছে টালা ব্রিজ।