০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণে ইউরোপ, গত এক বছরে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে জানেন! সংখ্যা শুনলে শিউরে উঠবেন

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 4

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গোটা পৃথিবীই দূষণের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হচ্ছে। ক্রমশ এক ভয়াল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। কয়েকটি দেশকে বাদ দিলে বাকি দেশগুলি কম বেশি দূষণের শিকার।

মাত্রাছাড়া বায়ু দূষণে আক্রান্ত ইউরোপ।  ২০১৯ সালে বায়ুদূষণে মৃত্যুর পরিসংখ্যান ধরে সোমবার ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি (ইইএ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুতে পার্টিকেল ম্যাটার (পিএম ২.৫) নামক দূষণ কণার উপস্থিতির কারণে এক বছরে ৩ লাখ ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২ দশমিক ৫ হল বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র দূষণ কণা। এগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে সঙ্গে মানুষের দেহে ঢুকে মৃত্যু দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  

নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বাতাসে এই দূষণ কণার অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়। তবে ২০০৫ সালে সে সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমে দাঁড়ায় সাড়ে চার লাখে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেটা সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, বাতাসে দূষণ কণার উপস্থিতির কারণে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৪৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হওয়ায় পরের বছর (২০১৯ সালে) বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। ইইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নির্দেশনা মেনে চলত, তবে ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামানো যেত। বাতাসের গুণমান পরিমাপের মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়ে ওই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাতাসে পার্টিকুলেট ম্যাটারের উপস্থিতির কারণে ২০১৯ সালে জার্মানিতে ৫৩ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই বছর ইতালিতে ৪৯ হাজার ৯০০, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৮০০ ও স্পেনে ২৩ হাজার ৩০০ জন। ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৯ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট জনসংখ্যার তুলনায় মৃত্যুহার বিবেচনা করলে ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের কারণে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে পোল্যান্ডে।

ইইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ ইউরোপের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। দূষণের কারণে অকালমৃত্যুগুলোর বেশির ভাগই হচ্ছে হৃদ্‌রোগ ও মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে। এর পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ক্যানসারসহ ফুসফুস–সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ। দূষণ শিশুদের ফুসফুসের গঠনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এতে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে এবং হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।  দেখা দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়ে থাকে। অন্যদিকে ভারতে দিল্লিতে ক্রমশই বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এই অবস্থা চলতে থাকলে দিল্লিতে দূষণের কারণে ফের লকডাউন ঘোষণা হতে পারে সেই রাজ্য! আপাতত সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে লকডাউনের স্বপক্ষে আর্জি জানানো হয়েছে।  

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণে ইউরোপ, গত এক বছরে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে জানেন! সংখ্যা শুনলে শিউরে উঠবেন

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গোটা পৃথিবীই দূষণের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হচ্ছে। ক্রমশ এক ভয়াল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। কয়েকটি দেশকে বাদ দিলে বাকি দেশগুলি কম বেশি দূষণের শিকার।

মাত্রাছাড়া বায়ু দূষণে আক্রান্ত ইউরোপ।  ২০১৯ সালে বায়ুদূষণে মৃত্যুর পরিসংখ্যান ধরে সোমবার ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি (ইইএ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুতে পার্টিকেল ম্যাটার (পিএম ২.৫) নামক দূষণ কণার উপস্থিতির কারণে এক বছরে ৩ লাখ ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২ দশমিক ৫ হল বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র দূষণ কণা। এগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে সঙ্গে মানুষের দেহে ঢুকে মৃত্যু দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  

নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বাতাসে এই দূষণ কণার অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়। তবে ২০০৫ সালে সে সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমে দাঁড়ায় সাড়ে চার লাখে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেটা সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, বাতাসে দূষণ কণার উপস্থিতির কারণে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৪৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হওয়ায় পরের বছর (২০১৯ সালে) বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। ইইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নির্দেশনা মেনে চলত, তবে ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামানো যেত। বাতাসের গুণমান পরিমাপের মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়ে ওই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাতাসে পার্টিকুলেট ম্যাটারের উপস্থিতির কারণে ২০১৯ সালে জার্মানিতে ৫৩ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই বছর ইতালিতে ৪৯ হাজার ৯০০, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৮০০ ও স্পেনে ২৩ হাজার ৩০০ জন। ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৯ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট জনসংখ্যার তুলনায় মৃত্যুহার বিবেচনা করলে ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের কারণে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে পোল্যান্ডে।

ইইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ ইউরোপের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। দূষণের কারণে অকালমৃত্যুগুলোর বেশির ভাগই হচ্ছে হৃদ্‌রোগ ও মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে। এর পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ক্যানসারসহ ফুসফুস–সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ। দূষণ শিশুদের ফুসফুসের গঠনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এতে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে এবং হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।  দেখা দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়ে থাকে। অন্যদিকে ভারতে দিল্লিতে ক্রমশই বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এই অবস্থা চলতে থাকলে দিল্লিতে দূষণের কারণে ফের লকডাউন ঘোষণা হতে পারে সেই রাজ্য! আপাতত সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে লকডাউনের স্বপক্ষে আর্জি জানানো হয়েছে।