মেছুয়া বাজার অগ্নিকাণ্ডে গ্রেফতার ঠিকাদার, ধৃতের সংখ্যা ৩

- আপডেট : ২ মে ২০২৫, শুক্রবার
- / 122
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের জালে আরও এক। এর ফলে এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা হল ৩। বৃহস্পতিবার হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার গ্রেফতার করা হল ঠিকাদারকে। ধৃত ওই ঠিকাদার কড়েয়ার বাসিন্দা। নাম খুরশিদ আলম (৪২)। তিনি হোটেলের ভিতরের কাজের বরাত পেয়েছিলেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। আচমকা বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির ঋতুরাজ হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেন কর্মীরা। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ পুরনিগমের
বৃহস্পতিবার সকালে হোটেলের মালিক আকাশ চাওলা ও ম্যানেজার গৌরব কাপুরকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে দমকল। পাশাপাশি, পুলিশও সুয়োমোটো অভিযোগ দায়ের করে। সেই দুই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়।
হোটেলের ম্যানেজারকে, বুধবারই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার হোটেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাও সঙ্গে ছিলেন। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ঘটনাস্থলে যান।
অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা প্রায় সকলেই অন্য রাজ্যের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’তলা ওই হোটেলের ছাদে এবং ছাদের কাছে পড়েছিল দু’টি দেহ। এ ছাড়া, দোতলা থেকে তিন তলায় ওঠার সিঁড়িতে ছিল একজনের দেহ। বাকি ১০টি দেহ পাওয়া যায় হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে। হোটেলের ভিতরে যেখানে কাজ চলছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে অনুমান পুলিশ এবং দমকলের। কলকাতা পুলিশের ১১ জনের তদন্তকারী দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তারাই বৃহস্পতিবার রাতে খুরশিদকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন।