০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বদলে যাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 109

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নতুন রাজধানী পেতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। আগামী মার্চ মাসে বিশাখাপত্তনমেই গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট আয়োজন করছে অন্ধ্র সরকার। তার প্রস্তুতি হিসেবে নয়া দিল্লিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক অ্যালায়েন্স মিট’-এ যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি।

সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামীদিনে বিশাখাপত্তনমই হতে চলেছে রাজ্যের রাজধানী। আমি নিজেও ওখানে থাকতে শুরু করবো।

আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! আগামী ৫ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৩-৪ মার্চ বিশাখাপত্তনমে একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: মিশরে হচ্ছে নতুন রাজধানী, থাকবে ৬০ লক্ষ মানুষ

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে হায়দরাবাদই ছিল অন্ধ্রের রাজধানী। তবে অমরাবতী থেকে সরকার পরিচালিত হত। রাজ্যের এই শহরেই সমস্ত সরকারি সচিবালয় রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে বিধানসভা, ও হাইকোর্টও।
তবে এবার থেকেই রাজ্যের রাজধানী হতে চলেছে বিশাখাপত্তনম যা আগে ভাইজাগ নামে পরিচিত ছিল। অন্ধ্র প্রদেশের সবথেকে বড় শহর এটি।

আরও পড়ুন: কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ‘অন্ধ্র প্রদেশ ডিসেন্ট্রালাইজেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট অব অল রিজিয়নস অ্যাক্ট’ জারি করেছিল। এই অ্যাক্টে রাজ্যের তিনটি রাজধানী স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল – বিশাখাপত্তনম (কার্যনির্বাহী রাজধানী), অমরাবতী (বিধানসভা রাজধানী) এবং কুর্নুল (বিচার বিভাগীয় রাজধানী)।

তবে এই প্রস্তাব ঘিরে শুরু হয়েছিল তিব্র বিতর্ক। ফলস্বরূপ ২০২২ সালের নভেম্বরে এই নয়া আইন প্রত্যাহার করেছিল রেড্ডির সরকার। এবার অমরাবতী থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হল বিশাখাপত্তনমে।
মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনমেই রাজ্যপালের বাসভবন ও কার্যালয় থাকবে। তাছাড়া রাজ্য সচিবালয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনও এই শহরেই থাকবে। তবে, বিধানসভা পরিচালিত হবে অমরাবতী থেকেই।

প্রশাসনিক কারণে অমরাবতী থেকে রাজধানী দক্ষিণ ভারতের সৈকত শহরে উঠে আসছে বলে জানা গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একটি নতুন রাজধানীর পরিচয় গত কয়েক বছর ধরে সামাজিক, আইনি, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই খবর।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বদলে যাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নতুন রাজধানী পেতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। আগামী মার্চ মাসে বিশাখাপত্তনমেই গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট আয়োজন করছে অন্ধ্র সরকার। তার প্রস্তুতি হিসেবে নয়া দিল্লিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক অ্যালায়েন্স মিট’-এ যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি।

সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামীদিনে বিশাখাপত্তনমই হতে চলেছে রাজ্যের রাজধানী। আমি নিজেও ওখানে থাকতে শুরু করবো।

আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! আগামী ৫ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৩-৪ মার্চ বিশাখাপত্তনমে একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: মিশরে হচ্ছে নতুন রাজধানী, থাকবে ৬০ লক্ষ মানুষ

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে হায়দরাবাদই ছিল অন্ধ্রের রাজধানী। তবে অমরাবতী থেকে সরকার পরিচালিত হত। রাজ্যের এই শহরেই সমস্ত সরকারি সচিবালয় রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে বিধানসভা, ও হাইকোর্টও।
তবে এবার থেকেই রাজ্যের রাজধানী হতে চলেছে বিশাখাপত্তনম যা আগে ভাইজাগ নামে পরিচিত ছিল। অন্ধ্র প্রদেশের সবথেকে বড় শহর এটি।

আরও পড়ুন: কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ‘অন্ধ্র প্রদেশ ডিসেন্ট্রালাইজেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট অব অল রিজিয়নস অ্যাক্ট’ জারি করেছিল। এই অ্যাক্টে রাজ্যের তিনটি রাজধানী স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল – বিশাখাপত্তনম (কার্যনির্বাহী রাজধানী), অমরাবতী (বিধানসভা রাজধানী) এবং কুর্নুল (বিচার বিভাগীয় রাজধানী)।

তবে এই প্রস্তাব ঘিরে শুরু হয়েছিল তিব্র বিতর্ক। ফলস্বরূপ ২০২২ সালের নভেম্বরে এই নয়া আইন প্রত্যাহার করেছিল রেড্ডির সরকার। এবার অমরাবতী থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হল বিশাখাপত্তনমে।
মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনমেই রাজ্যপালের বাসভবন ও কার্যালয় থাকবে। তাছাড়া রাজ্য সচিবালয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনও এই শহরেই থাকবে। তবে, বিধানসভা পরিচালিত হবে অমরাবতী থেকেই।

প্রশাসনিক কারণে অমরাবতী থেকে রাজধানী দক্ষিণ ভারতের সৈকত শহরে উঠে আসছে বলে জানা গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একটি নতুন রাজধানীর পরিচয় গত কয়েক বছর ধরে সামাজিক, আইনি, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই খবর।