স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা দেখাতে গিয়ে নিগৃহীত ইউটিউবারকেই গ্রেফতার পুলিশের
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এক ইউটিউবারকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুর্দশা জনসমক্ষে তুলে ধরার বড় মাশুল দিতে হল। প্রথমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা ইঁট আর লাঠি নিয়ে ইউটিউবারকে বেদম মারধর করে। এরপর পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা করে ইউটিউবারকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অখিলেশ যাদব বিজেপিকে নিশানা করেছে। অন্যদিকে রাজ্যের ডেপুটি সিএম ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সুলতানপুর জেলার সরায় গোকুলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। বুধবার এই গ্রামেরই বাসিন্দা ইউটিউবার ললিত যাদব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুর্দশা নিয়ে রিপোর্টং করতে যান। ক্যাম্পাসের অব্যবস্থা এবং অপরিচ্ছন্নতা ক্যামেরায় তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে ইউটিউবার কন্ট্রোল রুমের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাইরে আসতেই তাঁকে চপ্পল, ইঁট এবং লাঠি দিয়ে শুরু হয় মার। এই পুরো ঘটনাটির ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। উলটে পুলিশ এই ঘটনায় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই এএনএম থানায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা ইউটিউবারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করে। পুলিশ ললিতের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সমেত প্রায় আধ ডজন ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করে। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক এই মামলায় তদন্তের দাবি তোলেন এবং ১ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলেন। দোষী স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্তের আশ্বাসও দেন তিনি।
সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তিনি জানান, ‘বিজেপির শাসনকালে উত্তরপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালের বেহাল দশা তুলে ধরায় একজন মিডিয়া কর্মীর উপর স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রমণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা উচিত।’ তিনি ওই ইউটিউবারের প্রশংসা করে বলেন, ললিতের মতো দুঃসাহসী মিডিয়াকর্মী সব জেলায় থাকলে রাজ্যের প্রকৃত পরিস্থিতি জনসমক্ষে চলে আসবে।