১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার দল ছাড়লেন বাবু মাস্টার, রাজ্যে বিজেপি কি আরও এক দফা ব্যাকফুটে?

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি ছাড়লেন হাসনাবাদের এক সময়কার দাপুটে তৃণমূল  নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই আর পাঁচজন দলত্যাগীর মতই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান হিঙ্গলগঞ্জের দাপুটে এই নেতা। তবে আপাতত মোহভঙ্গ হয়েছে। তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই বিজেপি ছাড়লেন তিনি।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চাপেই গব্বর সিং ট্যাক্স কমাচ্ছেন মোদি: জয়রাম

তবে কি ফের ঘর ওয়াপসি বাবু মাস্টার। আপাতত তা  নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদির মুখে আরএসএস-এর প্রশংসা

বাবু জানিয়েছেন তিনি বিজেপি ছেড়েছেন,তার বক্তব্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝে যান এই জায়গা তাঁর জন্য যথাযথ নয়।

আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন শমীক ভট্টাচার্য, বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাম ঘোষণা

 তাঁর আরও বক্তব্য বিজেপি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাজ করার জন্য উপযুক্ত নয়। পশ্চিমবঙ্গে যে বিভাজনের রাজনীতি করে যে সফল হওয়া যাবেনা সেই কথাও বলেন সদ্য দলত্যাগী বাবু মাস্টার।

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মুখ সেই কথাও মনে করিয়ে দেন ইতিহাসের এই শিক্ষক।

তবে কি তিনি ফের ফিরে যাবেন তৃণমূলে, এই প্রশ্নের উত্তরে বাবু মাস্টার বলেন তিনি এটা বলতে পারেননা। তবে তিনি যে রাজনীতিতেই থাকতে চাই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায় “ আজ থেকে ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ, এখ  ন একটু স্বস্তিতে, সুস্থভাবে থাকতে চাই” নিজের জীবদ্দশায় আর ফিরতে চাননা বিজেপিতে ।

উল্লেখ্য রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা বাংলায় ২০০ এর বেশি আসনে জয় নিয়ে ছিলেন অতি আত্মবিশ্বাসী।মোদি- শাহদের মত নেতারা বারবার ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও বিজেপি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭   টির বেশি আসন পায়নি। ২১৩ টি আসন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে জোড়াফুল ।

 তবে ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা যায় দলত্যাগীদের ঘর ওয়াপসি হবার হিড়িক। মুকুল থেকে সব্যসাচী একে একে ফিরছেন অনেকেই। আজকেই তৃণমূলে ফিরলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। দল ছাড়লেন বাবু মাস্টার । তবে কি এবার রাজ্যে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে বিজেপি, বর্তমান দেওয়াল লিখন এমনটাই ইঙ্গিত করছে বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার দল ছাড়লেন বাবু মাস্টার, রাজ্যে বিজেপি কি আরও এক দফা ব্যাকফুটে?

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি ছাড়লেন হাসনাবাদের এক সময়কার দাপুটে তৃণমূল  নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই আর পাঁচজন দলত্যাগীর মতই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান হিঙ্গলগঞ্জের দাপুটে এই নেতা। তবে আপাতত মোহভঙ্গ হয়েছে। তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই বিজেপি ছাড়লেন তিনি।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চাপেই গব্বর সিং ট্যাক্স কমাচ্ছেন মোদি: জয়রাম

তবে কি ফের ঘর ওয়াপসি বাবু মাস্টার। আপাতত তা  নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদির মুখে আরএসএস-এর প্রশংসা

বাবু জানিয়েছেন তিনি বিজেপি ছেড়েছেন,তার বক্তব্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝে যান এই জায়গা তাঁর জন্য যথাযথ নয়।

আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন শমীক ভট্টাচার্য, বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাম ঘোষণা

 তাঁর আরও বক্তব্য বিজেপি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাজ করার জন্য উপযুক্ত নয়। পশ্চিমবঙ্গে যে বিভাজনের রাজনীতি করে যে সফল হওয়া যাবেনা সেই কথাও বলেন সদ্য দলত্যাগী বাবু মাস্টার।

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মুখ সেই কথাও মনে করিয়ে দেন ইতিহাসের এই শিক্ষক।

তবে কি তিনি ফের ফিরে যাবেন তৃণমূলে, এই প্রশ্নের উত্তরে বাবু মাস্টার বলেন তিনি এটা বলতে পারেননা। তবে তিনি যে রাজনীতিতেই থাকতে চাই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায় “ আজ থেকে ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ, এখ  ন একটু স্বস্তিতে, সুস্থভাবে থাকতে চাই” নিজের জীবদ্দশায় আর ফিরতে চাননা বিজেপিতে ।

উল্লেখ্য রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা বাংলায় ২০০ এর বেশি আসনে জয় নিয়ে ছিলেন অতি আত্মবিশ্বাসী।মোদি- শাহদের মত নেতারা বারবার ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও বিজেপি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭   টির বেশি আসন পায়নি। ২১৩ টি আসন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে জোড়াফুল ।

 তবে ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা যায় দলত্যাগীদের ঘর ওয়াপসি হবার হিড়িক। মুকুল থেকে সব্যসাচী একে একে ফিরছেন অনেকেই। আজকেই তৃণমূলে ফিরলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। দল ছাড়লেন বাবু মাস্টার । তবে কি এবার রাজ্যে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে বিজেপি, বর্তমান দেওয়াল লিখন এমনটাই ইঙ্গিত করছে বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।