০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনের কারাগারে সৌদির হামলা, নিন্দা জাতিসংঘের

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২২ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 18

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইয়েমেনের একটি কারাগারে(Yemen prison) সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায়(air strike) অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ(UN)। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সাদা এলাকার ওই কারাগারে স্থানীয় সময় শুক্রবার হামলা করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস(Antonio Guterres) বলেছেন, ইয়েমেনে উত্তেজনার অবসান হওয়া দরকার।হুতি(Houthi ) বিদ্রোহীদের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।তাতে লাখ লাখ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটি কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।সৌদি জোট শুক্রবার বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরেও উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মরদেহ বের করছিলেন। যতই সময় যাচ্ছে, সেখানে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা কমে যাচ্ছে।

শুক্রবারের ওই হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, সঠিকভাবে তা বলা মুশকিল। তবে মেডিসে সঁ ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ) জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।এমএসএফ আরো জানিয়েছে, একটি হাসপাতালেই অন্তত ২০০ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে।জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন উত্তেজনা নিরসনের জন্য সৌদি জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা নিরসনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।ইয়েমেনের দক্ষিণে আরেকটি বিমান হামলায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। তারা ফুটবল খেলছিল।সেভ দি চিলড্রেনস জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বন্দর নগরী হুদায়দাহে একটি টেলিযোগাযোগ ভবনে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। একই সময় ইয়েমেন জুড়ে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য ওই হামলাকে দায়ী করেছে হুতি বিদ্রোহীরা।

সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা হুদায়দাহে বিমান হামলা করেছে। কিন্তু সাদায়(Saada) হামলার বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি।সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন আর মিসাইল হামলা চালানোর পর জোট বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের ওই হামলা আমিরাতের তিনজন বেসামরিক বাসিন্দা নিহত হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইয়েমেনের কারাগারে সৌদির হামলা, নিন্দা জাতিসংঘের

আপডেট : ২২ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইয়েমেনের একটি কারাগারে(Yemen prison) সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায়(air strike) অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ(UN)। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সাদা এলাকার ওই কারাগারে স্থানীয় সময় শুক্রবার হামলা করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস(Antonio Guterres) বলেছেন, ইয়েমেনে উত্তেজনার অবসান হওয়া দরকার।হুতি(Houthi ) বিদ্রোহীদের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।তাতে লাখ লাখ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটি কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।সৌদি জোট শুক্রবার বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরেও উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মরদেহ বের করছিলেন। যতই সময় যাচ্ছে, সেখানে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা কমে যাচ্ছে।

শুক্রবারের ওই হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, সঠিকভাবে তা বলা মুশকিল। তবে মেডিসে সঁ ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ) জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।এমএসএফ আরো জানিয়েছে, একটি হাসপাতালেই অন্তত ২০০ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে।জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন উত্তেজনা নিরসনের জন্য সৌদি জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা নিরসনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।ইয়েমেনের দক্ষিণে আরেকটি বিমান হামলায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। তারা ফুটবল খেলছিল।সেভ দি চিলড্রেনস জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বন্দর নগরী হুদায়দাহে একটি টেলিযোগাযোগ ভবনে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। একই সময় ইয়েমেন জুড়ে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য ওই হামলাকে দায়ী করেছে হুতি বিদ্রোহীরা।

সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা হুদায়দাহে বিমান হামলা করেছে। কিন্তু সাদায়(Saada) হামলার বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি।সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন আর মিসাইল হামলা চালানোর পর জোট বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের ওই হামলা আমিরাতের তিনজন বেসামরিক বাসিন্দা নিহত হয়।