ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকা মধ্যস্থতা করেনি স্বীকারোক্তি ট্রাম্পের

- আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 37
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ট্রাম্প স্বীকার করলেন যে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে জঙ্গিরা ২৬ জন পর্যটককে গুলি করে খুন করে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এরপর ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারতীয় সেনা বাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনী। পাল্টা জবাব হিসাবে পাকিস্তান হামলা চালায়। যদিও পাকিস্তানে ছোড়া ড্রোন প্রতিহত করে ভারত।
১০ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করে। এরপরই ট্রাম নিজের সোশাল মিডিয়া ‘ট্রুথ-এ দাবি করেন ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ-বিরতি করছে। এই সংঘর্ষ বিরতি তাঁর মধ্যস্থতায় হয়েছে বলেও ‘ট্রুথ’ দাবি করেন তিনি। তারপর এই প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডন্ট স্বীকার করলেন ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতিতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।
বুধবার হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম। সেখানেই এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, “আমি মুনিরকে যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গেও একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি।”
রিপাবলিকান নেতা আরও বলেন, “আমি খুব খুশি যে দুজন বুদ্ধিমান মানুষ, যুদ্ধ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা পারমাণবিক যুদ্ধ হতে পারত।”
কানাডায় জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প এবং মোদির দেখা হওয়ার কথা ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে মার্কিম প্রেসিডেন্ট তাঁর সফর কাঁট-ছাঁট করে ওয়াশিংটনে ফিরে যান। তবে মোদির সঙ্গে প্রায় ৩৫ মিনিট টেলিফোনিক কথোপকথন হয়।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি বা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যস্থতার কোনও প্রস্তাব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
ভারত কখনই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণ করবে না এবং এই বিষয়ে ভারতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।