০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ মে ২০২৫, সোমবার
  • / 442

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দফতরের যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর আওতায় সরকার মনে করে, আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা জরুরি।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিদায়

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় মিছিল, সভা-সমাবেশ, যে কোনও ধরণের প্রচারমূলক কার্যক্রম, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার, দলীয় সম্মেলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড;সবকিছুই নিষিদ্ধ বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিনের ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশজুড়ে ছাত্র ও নাগরিকদের গণআন্দোলনের সময় উক্ত সংগঠন ও এর সহযোগী শাখাগুলি সন্ত্রাস ও নিপীড়নের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। অপহরণ, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, বেআইনি আটক ও অমানবিক নির্যাতনের মতো অভিযোগ বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক, তার সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি: বিক্রম মিশ্রি

৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন দমনে এই সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা, সাক্ষীদের হুমকি, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রচার ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের দাবি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য চক্রান্ত ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর অধীনস্থ সংগঠনগুলির সমস্ত ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ১২ মে ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দফতরের যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর আওতায় সরকার মনে করে, আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা জরুরি।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিদায়

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় মিছিল, সভা-সমাবেশ, যে কোনও ধরণের প্রচারমূলক কার্যক্রম, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার, দলীয় সম্মেলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড;সবকিছুই নিষিদ্ধ বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিনের ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশজুড়ে ছাত্র ও নাগরিকদের গণআন্দোলনের সময় উক্ত সংগঠন ও এর সহযোগী শাখাগুলি সন্ত্রাস ও নিপীড়নের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। অপহরণ, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, বেআইনি আটক ও অমানবিক নির্যাতনের মতো অভিযোগ বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক, তার সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি: বিক্রম মিশ্রি

৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন দমনে এই সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা, সাক্ষীদের হুমকি, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রচার ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের দাবি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য চক্রান্ত ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর অধীনস্থ সংগঠনগুলির সমস্ত ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।