২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতা-সহ জেলায় রুফটপ রেস্তোরাঁ না খোলার নির্দেশ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 196

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রুফটপ রেস্তোরাঁ করা যাবে না। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, রাজ্যের কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় রুফটপ রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না। সিঁড়ি খোলা রাখার নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর তা পলিসি আকারে মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়া হবে বলে খবর। সেই সঙ্গে ‘থার্ড পার্টি’ অর্থাৎ নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে সারা রাজ্যে ফায়ার অডিটের কাজও শুরু হবে।

অগ্নিনির্বাপণ বিধি তৈরির জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দু’টি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ১৫ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন বিদ্যুৎ ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান-সহ এই বিভাগগুলির প্রধান সচিব, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), পুর কমিশনার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

এদিন দীর্ঘ বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, “স্টেট লেভেল কমিটির সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে চূড়ান্ত মিটিং করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর সেটা পলিসি আকারে ক্যাবিনেটে জমা দেওয়া হবে এবং জেলাভিত্তিক কমিটির রিপোর্ট মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হবে। জমা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই ক্যাবিনেট বৈঠকে পেশ করা হবে।”

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই নিয়ে পাকদহে তৃণমূলের সভা

মেয়র জানিয়েছেন, “ছাদ যেমন বিক্রি করা যাবে না, তেমনই প্রতিটি বাণিজ্যিক বহুতল অথবা হাসপাতালের অগ্নিসুরক্ষা বিধি যাচাই করতে থার্ড পার্টি অডিট বাধ্যতামূলক করা হবে। আবাসনের নির্মাণ স্থায়িত্ব যাচাইয়ের পর প্ল্যান অনুমোদন করা হবে।”

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই প্রস্তুতি মিটিংয়ে সুন্দরবন রক্ষার বার্তা, চারাগাছ বিতরণ

সব দফতরের মতামত এবং জেলাশাসকদের তথ্য মিলিয়ে রিপোর্ট তৈরি হবে।  পুলিশ, আবগারি, আবাসন ও বিল্ডিং বিভাগের মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ১৫ দিন পর ফের বৈঠক হবে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীর নিয়োগে উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভার সূত্রে জানা গেছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতা-সহ জেলায় রুফটপ রেস্তোরাঁ না খোলার নির্দেশ

আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রুফটপ রেস্তোরাঁ করা যাবে না। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, রাজ্যের কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় রুফটপ রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না। সিঁড়ি খোলা রাখার নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর তা পলিসি আকারে মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়া হবে বলে খবর। সেই সঙ্গে ‘থার্ড পার্টি’ অর্থাৎ নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে সারা রাজ্যে ফায়ার অডিটের কাজও শুরু হবে।

অগ্নিনির্বাপণ বিধি তৈরির জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দু’টি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ১৫ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন বিদ্যুৎ ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান-সহ এই বিভাগগুলির প্রধান সচিব, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), পুর কমিশনার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

এদিন দীর্ঘ বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, “স্টেট লেভেল কমিটির সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে চূড়ান্ত মিটিং করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর সেটা পলিসি আকারে ক্যাবিনেটে জমা দেওয়া হবে এবং জেলাভিত্তিক কমিটির রিপোর্ট মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হবে। জমা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই ক্যাবিনেট বৈঠকে পেশ করা হবে।”

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই নিয়ে পাকদহে তৃণমূলের সভা

মেয়র জানিয়েছেন, “ছাদ যেমন বিক্রি করা যাবে না, তেমনই প্রতিটি বাণিজ্যিক বহুতল অথবা হাসপাতালের অগ্নিসুরক্ষা বিধি যাচাই করতে থার্ড পার্টি অডিট বাধ্যতামূলক করা হবে। আবাসনের নির্মাণ স্থায়িত্ব যাচাইয়ের পর প্ল্যান অনুমোদন করা হবে।”

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই প্রস্তুতি মিটিংয়ে সুন্দরবন রক্ষার বার্তা, চারাগাছ বিতরণ

সব দফতরের মতামত এবং জেলাশাসকদের তথ্য মিলিয়ে রিপোর্ট তৈরি হবে।  পুলিশ, আবগারি, আবাসন ও বিল্ডিং বিভাগের মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ১৫ দিন পর ফের বৈঠক হবে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীর নিয়োগে উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভার সূত্রে জানা গেছে।