রসিকতার ছলে মোদিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন ওমর আবদুল্লাহ’র
- আপডেট : ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 48
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হাতের কাছে পেয়ে মজার ছলে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার কথা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার পদোন্নতি হলেও, আমার পদাবনতি (ডিমোশন) হয়েছে।’ তিনি আশাবাদী যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব দেবেন। কাটরা রেলওয়ে স্টেশনে বন্দেভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘রেলের বড়-বড় অনুষ্ঠানে আমি সবসময় অংশ নিয়েছি। আনন্তনাগ রেল স্টেশনের উদ্বোধন, বানিহাল রেল সুড়ঙ্গের উদ্বোধনের সময়ও আমি উপস্থিত ছিলাম। ২০১৪ সালে আমার প্রথম মেয়াদের শেষ অনুষ্ঠানও এখানে কাটরায় হয়েছিল। তখন আপনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে কাটরা রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেছিলেন। আপনি তিনবার নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
এরপরেই রসিকতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে এখানে আমরা চারজনই ছিলাম। মনোজ সিনহা তখন রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, এখন তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আর আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে জম্মু ও কাশ্মীর শীঘ্রই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে।’
এদিকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেন, কাটরা-শ্রীনগর বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনের মাধ্যমে ‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী’ সংযোগের স্লোগান বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের দুই প্রান্তকে একত্রিত করে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল এবং ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির স্বপ্নকে সত্যি করেছেন। এই রেলপথ কেবল শহরগুলোকে সংযুক্ত করেনি, বরং কোটি কোটি ভারতীয়ের হৃদয়কে সংযুক্ত করেছে।
শুক্রবার উদ্বোধন করা চেনাব সেতু শুধু সিমেন্ট আর লোহার কাঠামো নয়, এটি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে সংযুক্ত করার মাধ্যম।’প্রধানমন্ত্রী মোদী কাটরা রেল স্টেশন থেকে দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন, যা জম্মু বিভাগকে সরাসরি কাশ্মীরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। উদ্বোধনের আগে তিনি ট্রেনে থাকা স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রেল কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন। তিনি চেনাব নদীর উপর নির্মিত সেতুর ডেকে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, যা একটি উল্লেখযোগ্য প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই রেলপথ উপত্যকাকে সারা বছর ধরে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত রাখবেষ বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের পর এই প্রকল্প ভারতের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।