৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আমরা কী অপরাধ করেছি” প্রশ্ন গাজার শিশুদের, একদিনে প্রাণ গেল ৭২ জন ফিলিস্তিনির

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 47

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের রক্তে রাঙা হল গাজার আকাশ। ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় রবিবার গাজা উপত্যকায় অন্তত ৭২ জন নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশু, নারী ও খাদ্যের আশায় লাইনে দাঁড়ানো নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, শুধু গাজা সিটি ও উত্তর গাজাতেই ৪৭ জনের প্রাণ গেছে। আহত শত শত মানুষের আহাজারিতে কেঁপে উঠেছে হাসপাতালের দেয়াল।

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পর ফের শিরোনামে গাজা, নেতানিয়াহুকে কি থামানো সম্ভব?

স্থানীয় আল-আহলি হাসপাতালের পরিস্থিতি এখন ‘বিপর্যয়কর’ বলে সূত্রের খবর। আহতদের স্রোত যেন থামছেই না। হাসপাতালের প্রতিটি কোণে আহাজারি, কান্না আর হাহাকার। অনেকেই মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন, কারও পা নেই, কারও মাথা ফেটে রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। শয্যা নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও অপারগ।

আরও পড়ুন: গাজায় একদিনে নিহত ১০০! অধিকাংশই ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত, বিশ্ব বিবেক নীরব!

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে রাফার উত্তরে। ক্ষুধার্ত মানুষজন যখন একটু ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছিলেন গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি সহায়তাকেন্দ্রে, ঠিক তখনই নামল বোমা। মুহূর্তেই নিথর হয়ে গেল পাঁচজন ফিলিস্তিনি—যাঁরা শুধু ক্ষুধা নিবারণের আশায় এসেছিলেন।

আরও পড়ুন: জ্বালানি অবরোধে গাজায় তীব্র জলসংকট: রাষ্ট্রসংঘ

একজন স্বাস্থ্যকর্মী কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছেন, মানুষগুলো শুধু বাঁচতে চেয়েছিল। একটু খাবার চেয়েছিল। আর তারা পেল—মৃত্যু।

এই নির্মমতা আর হিংস্রতার মধ্যে গাজার প্রতিটি প্রান্তে এখন শোক, কান্না আর অসহায়ত্বের সুর। মানবতা আজ বড় অসহায়, আর বিশ্ব নীরব দর্শক হয়ে এই লাশের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

গাজার শিশুরা জিজ্ঞেস করছে—“আমরা কী অপরাধ করেছি?”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

“আমরা কী অপরাধ করেছি” প্রশ্ন গাজার শিশুদের, একদিনে প্রাণ গেল ৭২ জন ফিলিস্তিনির

আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের রক্তে রাঙা হল গাজার আকাশ। ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় রবিবার গাজা উপত্যকায় অন্তত ৭২ জন নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশু, নারী ও খাদ্যের আশায় লাইনে দাঁড়ানো নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, শুধু গাজা সিটি ও উত্তর গাজাতেই ৪৭ জনের প্রাণ গেছে। আহত শত শত মানুষের আহাজারিতে কেঁপে উঠেছে হাসপাতালের দেয়াল।

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পর ফের শিরোনামে গাজা, নেতানিয়াহুকে কি থামানো সম্ভব?

স্থানীয় আল-আহলি হাসপাতালের পরিস্থিতি এখন ‘বিপর্যয়কর’ বলে সূত্রের খবর। আহতদের স্রোত যেন থামছেই না। হাসপাতালের প্রতিটি কোণে আহাজারি, কান্না আর হাহাকার। অনেকেই মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন, কারও পা নেই, কারও মাথা ফেটে রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। শয্যা নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও অপারগ।

আরও পড়ুন: গাজায় একদিনে নিহত ১০০! অধিকাংশই ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত, বিশ্ব বিবেক নীরব!

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে রাফার উত্তরে। ক্ষুধার্ত মানুষজন যখন একটু ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছিলেন গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি সহায়তাকেন্দ্রে, ঠিক তখনই নামল বোমা। মুহূর্তেই নিথর হয়ে গেল পাঁচজন ফিলিস্তিনি—যাঁরা শুধু ক্ষুধা নিবারণের আশায় এসেছিলেন।

আরও পড়ুন: জ্বালানি অবরোধে গাজায় তীব্র জলসংকট: রাষ্ট্রসংঘ

একজন স্বাস্থ্যকর্মী কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছেন, মানুষগুলো শুধু বাঁচতে চেয়েছিল। একটু খাবার চেয়েছিল। আর তারা পেল—মৃত্যু।

এই নির্মমতা আর হিংস্রতার মধ্যে গাজার প্রতিটি প্রান্তে এখন শোক, কান্না আর অসহায়ত্বের সুর। মানবতা আজ বড় অসহায়, আর বিশ্ব নীরব দর্শক হয়ে এই লাশের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

গাজার শিশুরা জিজ্ঞেস করছে—“আমরা কী অপরাধ করেছি?”