০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বজায় থাকুক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: ক্বারি ফজলুর রহমান

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৮ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 34

পুবের কলম প্রতিবেদক : ‘’নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান/বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান।’’ অতুল প্রসাদ সেনের এই কালজয়ী গানটির মূল বোধকে অব্যাহত রেখে প্রতিটি ভারতীয় অতীতেও গর্ববোধ করে এসেছে, বর্তমানেও করে চলেছে আর ভবিষ্যতেও করে চলবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মকে কোথাও রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে ভেদাভেদ। এই ভেদাভেদকে দূরে রেখে একসঙ্গে সকলকে পথ চলার বার্তা দিল অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের পশ্চিমবঙ্গ শাখা।

অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল রাজ্যশাখার সভাপতি ক্কারি ফজলুর রহমান কলকাতা প্রেসক্লাবেআয়িজত এক সেমিনারে বলেন, সম্প্রতি সব কিছুতে ধর্মকে টেনে আনা হয়। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ছোট করার প্রবণতা বেড়েছে। এই প্রবণতা থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা। তাঁর কথায়, আমরা এই মঞ্চের মাধ্যমে ভারতবর্ষের প্রতিটি ক্ষেত্রের সেই বৈচিত্র্যকেই প্রত্যক্ষ করব। ভৌগোলিক বৈচিত্র্যর সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য, পোশাক, সংßৃñতি, ভাষার সহাবস্থান একমাত্র হয়তো ভারতবর্ষের মত সমৃদ্ধ দেশের বুকেই সম্ভব। এর জন্য বেশি বেশি করে আলোচনা করা ও তরুণ প্রজন্মের কাছে সংবিধানের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।

আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে এসআইআর বিরোধী মহামিছিলে মমতা-অভিষেক

মাওলানা শফিক কাসেমী বলেন, ভারতের সমস্ত মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে সংবিধান। এর শিক্ষাকে যেমন নতুনদের কাছে পৌঁছাতে হবে তেমনি, আমাদের ছেলেমেয়েদের জুডিশিয়ারিতে আসতে হবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,পাঞ্জাব থেকে আগত বচ্চন সিং সনাল,মাওলানা আনিসুর রহমান,বিহার থেকে বিপিন তেওয়ারি, ইসতিয়াক আহমেদ রাজু, সাহুদ আলম,ডা.ভিক্কু প্রমুখ।

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজনীতিতে ধর্মকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে অনেকেরই। বিশ্লেষকদের কথায়, সংবিধান পৃথিবীর সব থেকে বড় সংবিধান। যখন এর রচনা করা হয়, তখন দলিতদের মতো মুসলিমদেরও সংরক্ষণ সিস্টেমের মধ্যে আনার কথা আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু মুসলিম সদস্যরাই এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু সংবিধানকে রক্ষা করতেই হবে, তার জন্য আরও বেশি আলোচনা প্রয়োজন। সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মত অনেকের।

আরও পড়ুন: কলকাতায় নামল আঁধার, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বজায় থাকুক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: ক্বারি ফজলুর রহমান

আপডেট : ৮ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : ‘’নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান/বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান।’’ অতুল প্রসাদ সেনের এই কালজয়ী গানটির মূল বোধকে অব্যাহত রেখে প্রতিটি ভারতীয় অতীতেও গর্ববোধ করে এসেছে, বর্তমানেও করে চলেছে আর ভবিষ্যতেও করে চলবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মকে কোথাও রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে ভেদাভেদ। এই ভেদাভেদকে দূরে রেখে একসঙ্গে সকলকে পথ চলার বার্তা দিল অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের পশ্চিমবঙ্গ শাখা।

অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল রাজ্যশাখার সভাপতি ক্কারি ফজলুর রহমান কলকাতা প্রেসক্লাবেআয়িজত এক সেমিনারে বলেন, সম্প্রতি সব কিছুতে ধর্মকে টেনে আনা হয়। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ছোট করার প্রবণতা বেড়েছে। এই প্রবণতা থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা। তাঁর কথায়, আমরা এই মঞ্চের মাধ্যমে ভারতবর্ষের প্রতিটি ক্ষেত্রের সেই বৈচিত্র্যকেই প্রত্যক্ষ করব। ভৌগোলিক বৈচিত্র্যর সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য, পোশাক, সংßৃñতি, ভাষার সহাবস্থান একমাত্র হয়তো ভারতবর্ষের মত সমৃদ্ধ দেশের বুকেই সম্ভব। এর জন্য বেশি বেশি করে আলোচনা করা ও তরুণ প্রজন্মের কাছে সংবিধানের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।

আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে এসআইআর বিরোধী মহামিছিলে মমতা-অভিষেক

মাওলানা শফিক কাসেমী বলেন, ভারতের সমস্ত মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে সংবিধান। এর শিক্ষাকে যেমন নতুনদের কাছে পৌঁছাতে হবে তেমনি, আমাদের ছেলেমেয়েদের জুডিশিয়ারিতে আসতে হবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,পাঞ্জাব থেকে আগত বচ্চন সিং সনাল,মাওলানা আনিসুর রহমান,বিহার থেকে বিপিন তেওয়ারি, ইসতিয়াক আহমেদ রাজু, সাহুদ আলম,ডা.ভিক্কু প্রমুখ।

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজনীতিতে ধর্মকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে অনেকেরই। বিশ্লেষকদের কথায়, সংবিধান পৃথিবীর সব থেকে বড় সংবিধান। যখন এর রচনা করা হয়, তখন দলিতদের মতো মুসলিমদেরও সংরক্ষণ সিস্টেমের মধ্যে আনার কথা আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু মুসলিম সদস্যরাই এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু সংবিধানকে রক্ষা করতেই হবে, তার জন্য আরও বেশি আলোচনা প্রয়োজন। সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মত অনেকের।

আরও পড়ুন: কলকাতায় নামল আঁধার, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি