২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা প্রদান কোনও ব্যবসা নয় যে লাভের চিন্তা করতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 56

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষাপ্রদান কোনও ব্যবসা নয়, যার মাধ্যমে আর্থিক লাভ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার রাজ্যের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির ফিজ বাড়িয়ে ২৪ লাখ টাকা।

 

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

মেডিক্যাল কলেজ যারা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত নয়, তারা এবার মেডিক্যালের এমবিবিএস কোর্সের জন্য ফিজ-বাবদ ২৪ লাখ টাকা ধার্য করতে পারে। এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় অর্থাৎ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এমবিবিএস কোর্সের ফিজ বাড়ানো যাবে না।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি এম এম সুখরেশের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

বেঞ্চ বলে ২০১১ সালে এমবিবিএস কোর্সের জন্য বেসরকারি কলেজগুলি যে ফিস নিত, তার সাতগুণ বেশি ফিস বাড়িয়ে ২৪ লাখ টাকা করা হয়েছে যা অযৌক্তিক।

শিক্ষা কোনও বাণিজ্য নয় যে, এর মাধ্যমে লাভ করতে হবে। টিউশন ফিস এতটাই হওয়া উচিত যা সাধারণ মানুষের কাছে বোঝা মনে না হয়। মামলায় খরচ বাবদ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে ২.৫ লাখ টাকা দিতে বলে। এই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস (এনএএলএসএ)-কে।

 

একই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজগুলিকে যাদের এই মামলার সঙ্গে স্বার্থ জড়িত ছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ২০১৭ সালের সরকারি নির্দেশে এমবিবিএস কোর্সের ফিস বাড়িয়ে ২৪ লাখ করা হয়েছিল। তারপর থেকে রাজ্যের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি ২৪ লাখ টাকা ফিস উসুল করছে ছাত্রদের কাছ থেকে।

 

ছাত্রদের এই অস্বাভাবিক ফিজ দিতে হচ্ছে বাজার থেকে ঋণ নিয়ে, যা তাদের শোধ দিতে হচ্ছে সুদ-সহ। অ্যাডমিশন অ্যান্ড ফি রেগুলেটারি কমিটি (এএফআরসি) যদি পূর্বের ফিজের চেয়ে বেশি ফিজ ধার্য করে, তাহলে তাদের সেটা করতে হবে এক বিশেষ বিচার্য ক্ষেত্রের আওতার মধ্যে থেকে। কারণ ফিজ ধার্য করতে গিয়ে কিছু জিনিসের খেয়াল রাখতে হবে।

 

তার উপর নির্ভর করছে ফিস বৃদ্ধির বিষয়টি বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, বিষয়গুলি হল,

(১) পেশাদারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোন স্থানে অবস্থিত,

(২) পেশাদারী কোর্সের চরিত্র এবং প্রকৃতি কী,

(৩) প্রাপ্ত পরিকাঠামোর খরচ কত ধরা হয়েছে,

(৪) কলেজের প্রশাসনিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কত,

(৫) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কত টাকার লগ্নি ধরা হয়েছে,

(৬) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কত টাকা ফি-বাবদ ছাড় দিতে হচ্ছে সংরক্ষিত কোটার জন্য।

এএসআরসিকে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে ফি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিক্ষা প্রদান কোনও ব্যবসা নয় যে লাভের চিন্তা করতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষাপ্রদান কোনও ব্যবসা নয়, যার মাধ্যমে আর্থিক লাভ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার রাজ্যের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির ফিজ বাড়িয়ে ২৪ লাখ টাকা।

 

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

মেডিক্যাল কলেজ যারা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত নয়, তারা এবার মেডিক্যালের এমবিবিএস কোর্সের জন্য ফিজ-বাবদ ২৪ লাখ টাকা ধার্য করতে পারে। এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় অর্থাৎ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এমবিবিএস কোর্সের ফিজ বাড়ানো যাবে না।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি এম এম সুখরেশের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

বেঞ্চ বলে ২০১১ সালে এমবিবিএস কোর্সের জন্য বেসরকারি কলেজগুলি যে ফিস নিত, তার সাতগুণ বেশি ফিস বাড়িয়ে ২৪ লাখ টাকা করা হয়েছে যা অযৌক্তিক।

শিক্ষা কোনও বাণিজ্য নয় যে, এর মাধ্যমে লাভ করতে হবে। টিউশন ফিস এতটাই হওয়া উচিত যা সাধারণ মানুষের কাছে বোঝা মনে না হয়। মামলায় খরচ বাবদ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে ২.৫ লাখ টাকা দিতে বলে। এই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস (এনএএলএসএ)-কে।

 

একই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজগুলিকে যাদের এই মামলার সঙ্গে স্বার্থ জড়িত ছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ২০১৭ সালের সরকারি নির্দেশে এমবিবিএস কোর্সের ফিস বাড়িয়ে ২৪ লাখ করা হয়েছিল। তারপর থেকে রাজ্যের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি ২৪ লাখ টাকা ফিস উসুল করছে ছাত্রদের কাছ থেকে।

 

ছাত্রদের এই অস্বাভাবিক ফিজ দিতে হচ্ছে বাজার থেকে ঋণ নিয়ে, যা তাদের শোধ দিতে হচ্ছে সুদ-সহ। অ্যাডমিশন অ্যান্ড ফি রেগুলেটারি কমিটি (এএফআরসি) যদি পূর্বের ফিজের চেয়ে বেশি ফিজ ধার্য করে, তাহলে তাদের সেটা করতে হবে এক বিশেষ বিচার্য ক্ষেত্রের আওতার মধ্যে থেকে। কারণ ফিজ ধার্য করতে গিয়ে কিছু জিনিসের খেয়াল রাখতে হবে।

 

তার উপর নির্ভর করছে ফিস বৃদ্ধির বিষয়টি বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, বিষয়গুলি হল,

(১) পেশাদারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোন স্থানে অবস্থিত,

(২) পেশাদারী কোর্সের চরিত্র এবং প্রকৃতি কী,

(৩) প্রাপ্ত পরিকাঠামোর খরচ কত ধরা হয়েছে,

(৪) কলেজের প্রশাসনিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কত,

(৫) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কত টাকার লগ্নি ধরা হয়েছে,

(৬) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কত টাকা ফি-বাবদ ছাড় দিতে হচ্ছে সংরক্ষিত কোটার জন্য।

এএসআরসিকে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে ফি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।