০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিম কোর্টে  প্রাথমিকে ৩৯২৯ জনের নিয়োগ মামলা,  শুনানি ১২ জুলাই

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 18

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে ছিল ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি। এদিন পিছিয়ে গেল প্রাথমিকের ৩ হাজার ৯২৯ জনের নিয়োগের মামলাটি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের  বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন তা হয়নি।

জানা গিয়েছে,  আগামী ১২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগামী ১২ জুলাই প্রাথমিকের নিয়োগের মূল মামলার শুনানি হবে। সেই মামলার সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটি। তাই তার শুনানিও হবে সেদিন। কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে।

আরও পড়ুন: ভারতের সংবিধানই এই অস্পৃশ্যকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে : গাভাই

এই রকম একটি মামলার শুনানিতেই জানা যায় যে, প্রাথমিকে সাড়ে ১৬ হাজার পদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হলেও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকি এই ৩ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত নিয়োগের জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন। কিন্তু পর্ষদ এই নির্দেশ মানতে চায়নি।

আরও পড়ুন: ৩ আগস্ট নিট পিজি পরীক্ষা নিতে নির্দেশ শীর্ষ কোর্টের

পরবর্তী সময়ে,  এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও এ বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। তখন আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ।

আরও পড়ুন: বিচারপতি ভার্মাকে সরানোর প্রস্তুতি, সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছে কেন্দ্র

সুপ্রিম কোর্ট গত মে মাসে হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এদিন সেই মামলার শুনানিই হল না।

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে একটি তথ্য উঠে আসে। তা হল ১৬,৫০০ পদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে। অর্থাত্‍, ঘোষণা সত্ত্বেও ৩৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি।এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পর্ষদ এবং  টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও এ বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। তবে শুধু মামলাকারীদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সকলকেই চাকরি দিতে হবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ।

গত মে মাসে হাই কোর্টের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার জানানো হয়, প্রাথমিকের মূল মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও। আগামী ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুপ্রিম কোর্টে  প্রাথমিকে ৩৯২৯ জনের নিয়োগ মামলা,  শুনানি ১২ জুলাই

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে ছিল ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি। এদিন পিছিয়ে গেল প্রাথমিকের ৩ হাজার ৯২৯ জনের নিয়োগের মামলাটি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের  বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন তা হয়নি।

জানা গিয়েছে,  আগামী ১২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগামী ১২ জুলাই প্রাথমিকের নিয়োগের মূল মামলার শুনানি হবে। সেই মামলার সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটি। তাই তার শুনানিও হবে সেদিন। কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে।

আরও পড়ুন: ভারতের সংবিধানই এই অস্পৃশ্যকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে : গাভাই

এই রকম একটি মামলার শুনানিতেই জানা যায় যে, প্রাথমিকে সাড়ে ১৬ হাজার পদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হলেও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকি এই ৩ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত নিয়োগের জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন। কিন্তু পর্ষদ এই নির্দেশ মানতে চায়নি।

আরও পড়ুন: ৩ আগস্ট নিট পিজি পরীক্ষা নিতে নির্দেশ শীর্ষ কোর্টের

পরবর্তী সময়ে,  এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও এ বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। তখন আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ।

আরও পড়ুন: বিচারপতি ভার্মাকে সরানোর প্রস্তুতি, সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছে কেন্দ্র

সুপ্রিম কোর্ট গত মে মাসে হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এদিন সেই মামলার শুনানিই হল না।

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে একটি তথ্য উঠে আসে। তা হল ১৬,৫০০ পদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে। অর্থাত্‍, ঘোষণা সত্ত্বেও ৩৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি।এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পর্ষদ এবং  টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও এ বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। তবে শুধু মামলাকারীদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সকলকেই চাকরি দিতে হবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ।

গত মে মাসে হাই কোর্টের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার জানানো হয়, প্রাথমিকের মূল মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও। আগামী ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।