খুনের মামলায় অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

- আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার
- / 9
মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওঠে সন্দেশখালি কান্ডের শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে পুরাতন দুটো খুনের মামলা। যে সব খুনের মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের, সেগুলিতে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে পুলিশ তদন্ত করতে পারবে। গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় ইডি অফিসারদের। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকা ছাড়তে হয় তাঁদের। সেই ঘটনা নিয়ে যখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে, তারই মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই নিহতের পরিবার।
নিহত দুই পরিবারের দাবি, ‘তাঁরা খুনের অভিযোগ তুললেও চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে শাহজাহান শেখের নাম। পুরো অভিযোগ শোনার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘খুব ভয়ঙ্কর অভিযোগ’। বুধবার এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, “এখনও পর্যন্ত যা শুনলাম, তাতে মামলা অন্য কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়া জন্য যথেষ্ট কারণ আছে।” সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আদালত সূত্রে প্রকাশ, বছর পাঁচেক আগে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ৬ জুন খুন হন প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল নামে তিনজন। ওই ঘটনায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ উঠলেও রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি তদন্তে চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে শাহজাহানের নাম। সেই খুনের অভিযোগ সামনে এনে হাইকোর্টে নতুন করে সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পদ্মা মণ্ডল এবং সুপ্রিয়া মণ্ডল। সুপ্রিয়া মণ্ডলে এফআইআর করেছিলে ন্যাজাট থানায়। তদন্তের পর সেই মামলা থেকে শাহজাহান সহ মোট ২৫ জনের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে। আর পদ্মা মণ্ডলের করা মামলায় তদন্ত করে সিআইডি। সেই মামলার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল মইজুদ্দিন মোল্লা ও জাভেদ আলি মোল্লার। পরে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। সেখানেও বাদ পড়ে শাহজাহানের নাম। আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে।