২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারুইপুরের মর্মান্তিক ঘটনা: মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করলেন বাংলা যোগীরাজ্য নয়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 64

বিশেষ প্রতিবেদকঃ এই বাংলাতেও মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন হয়। কিন্তু তা কখনই উত্তরপ্রদেশের মতো স্থায়ী নিয়ম হয়ে দাঁড়ায় না। কারণ, এ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ‘সম্প্রীতির বাংলা’। এর মধ্যে একটি বড় ভূমিকা পালন করে চলেছেন বাংলার হিন্দু-মুসলিম জনগণ। আর সমগ্র দেশে বর্তমানের বিপর্যয়করি অবস্থা এবং ঘৃনা-বিদ্বেষ প্রচারের মধ্যেও  প্রধান পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় তো বটেই, সারা দেশেই তিনি অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে আশার আলো হয়ে উঠেছেন।

 

আরও পড়ুন: ১৫ কোটি টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার ৩, উদ্ধার বিপুল পরিমাণে সোনার গয়না

সম্প্রতি এরই এক উদাহরণ পাওয়া গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। এখানে বারুইপুর থানা এবং বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নির্মম প্রহারের জেরে মাত্র ৬ দিনের মধ্যে চারজন মুসলিম তরুণ বন্দি নিহত হয়। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার   চেষ্টা করলেও মানবাধিকার কর্মী, কয়েকজন আইনজীবীর প্রচেষ্টায় তা সফল হতে পারেনি। সোশ্যাল মিডিয়া এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

 

আরও পড়ুন: বারুইপুর বাইপাসে বেআইনি দোকান উচ্ছেদ করা হলো প্রশাসনের উদ্যোগে

আর সবথেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্বরিত পদক্ষেপ। বারুইপুর ও মহেশতলা এলাকার  জিয়াউল লস্কর (৩৬), আবদুর রাজ্জাক (৩৪),সইদুল মুন্সি (৩৩), আকবর খানের (৪০) জেলে হত্যার কথা কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর কানে পৌঁছায়। এ ব্যাপারে ভূমিকা নিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সমাজকর্মী সাবির গাফফার, অ্যাডভোকেট আসফাক আহমদ প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত করতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে হবে। জেলাশাসক নিহতদের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকা করে চেক তুলে দেন ও পরিবারপিছু একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন।

 

অবশ্য নিহতদের পরিবার এখনও ইনসাফ চায়। মুখ্যমন্ত্রীর সুবিচারের আশ্বাসে তাদের আস্থা রয়েছে। তারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছে, তিনি নিশ্চয়ী প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বারুইপুরের মর্মান্তিক ঘটনা: মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করলেন বাংলা যোগীরাজ্য নয়

আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

বিশেষ প্রতিবেদকঃ এই বাংলাতেও মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন হয়। কিন্তু তা কখনই উত্তরপ্রদেশের মতো স্থায়ী নিয়ম হয়ে দাঁড়ায় না। কারণ, এ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ‘সম্প্রীতির বাংলা’। এর মধ্যে একটি বড় ভূমিকা পালন করে চলেছেন বাংলার হিন্দু-মুসলিম জনগণ। আর সমগ্র দেশে বর্তমানের বিপর্যয়করি অবস্থা এবং ঘৃনা-বিদ্বেষ প্রচারের মধ্যেও  প্রধান পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় তো বটেই, সারা দেশেই তিনি অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে আশার আলো হয়ে উঠেছেন।

 

আরও পড়ুন: ১৫ কোটি টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার ৩, উদ্ধার বিপুল পরিমাণে সোনার গয়না

সম্প্রতি এরই এক উদাহরণ পাওয়া গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। এখানে বারুইপুর থানা এবং বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নির্মম প্রহারের জেরে মাত্র ৬ দিনের মধ্যে চারজন মুসলিম তরুণ বন্দি নিহত হয়। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার   চেষ্টা করলেও মানবাধিকার কর্মী, কয়েকজন আইনজীবীর প্রচেষ্টায় তা সফল হতে পারেনি। সোশ্যাল মিডিয়া এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

 

আরও পড়ুন: বারুইপুর বাইপাসে বেআইনি দোকান উচ্ছেদ করা হলো প্রশাসনের উদ্যোগে

আর সবথেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্বরিত পদক্ষেপ। বারুইপুর ও মহেশতলা এলাকার  জিয়াউল লস্কর (৩৬), আবদুর রাজ্জাক (৩৪),সইদুল মুন্সি (৩৩), আকবর খানের (৪০) জেলে হত্যার কথা কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর কানে পৌঁছায়। এ ব্যাপারে ভূমিকা নিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সমাজকর্মী সাবির গাফফার, অ্যাডভোকেট আসফাক আহমদ প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত করতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে হবে। জেলাশাসক নিহতদের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকা করে চেক তুলে দেন ও পরিবারপিছু একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন।

 

অবশ্য নিহতদের পরিবার এখনও ইনসাফ চায়। মুখ্যমন্ত্রীর সুবিচারের আশ্বাসে তাদের আস্থা রয়েছে। তারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছে, তিনি নিশ্চয়ী প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।