স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

- আপডেট : ৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 241
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা। মঙ্গলবার বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ৯ জুন শুনানি সম্ভাবনা।
২০১৬ সালের চাকরিহারাদের নিয়োগের পরীক্ষার নতুন বিধি প্রকাশ করেছে এসএসসি। নতুন পরীক্ষাবিধিতে নানা বদল আনা হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতোই করতে হবে।
২০১৬ এবং ২০২৫ সালের নম্বরের তুলনা করলে দেখা যাবে, আগে ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হত। সেখানে এখন ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে নির্দিষ্ট নম্বর।
ফলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা, যাঁরা আগে অপেক্ষমাণ তালিকায়, অর্থাৎ ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা যোগ্যতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা। সে কারণেই এসএসসির সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন মামলাকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসএসসি। নয়া পরীক্ষাবিধিতে বলা হয়েছে, ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে, আগে যা ৫৫ নম্বরের ছিল। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে ৩৫ নম্বরের পরিবর্তে থাকছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে ১০ নম্বর থাকছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপর সর্বোচ্চ ১০ নম্বর করে রাখা হচ্ছে।
শুধু তা-ই নয়, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে যাঁদের বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর, তাঁরাই নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা।
এ ছাড়া, নতুন নিয়ম অনুসারে, মেধাতালিকা এবং অপেক্ষমাণ মেধাতালিকা মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে সেগুলির মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করতে পারবে কমিশন। নতুন পরীক্ষাবিধিতে আরও বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দু’বছর লিখিত পরীক্ষার মূল ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে। তার পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি সংরক্ষিত থাকবে ১০ বছর পর্যন্ত।