পুবের কলম প্রতিবেদক,নদিয়া:
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির ১০৭ তম জন্মবার্ষিকী পালন করল রানাঘাটের রাজীব গান্ধি মেমোরিয়াল কমিটি । মাল্যার্পণ, আলোচনা চক্র, সংবর্ধনা প্রদান ও সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে রবিবার সন্ধ্যায় রানাঘাট পৌরসভায় সংগঠনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির জন্মদিন পালন করে।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট পৌরসভার পুরপ্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায়,সহকারি পুরপ্রধান আনন্দ দে সহ পুরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত সবাই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিতে সকলে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এদিন। রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবদর্শন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সত্যিকার অর্থেই এশিয়ার মুক্তি সূর্য ছিলেন ইন্দিরাজি। তিনি দেশকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন। রোটি কাপড় আর বাসস্থান এর স্লোগান তিনিই তুলেছিলেন। আজ যা হচ্ছে তার অধিকাংশ ইন্দিরা গান্ধীর আমলের ফসল। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অরুণ ভৌমিক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বকে শাণিত করেছেন বাঙালির পরম বন্ধু শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধি। তিনি যদি এক কোটির বেশি বাঙালিকে আশ্রয় না দিতেন, ওপার বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ না দিতেন, প্রবাসী সরকার গঠনের সুযোগ করে না দিতেন, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আরও অনেক বেশি রক্ত প্রবাহিত হত। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে তিনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহায়তাকারী ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির অনেকেই ভুলতে বসেছেন। নিজ দেহ রক্ষীর হাতে ইন্দিরা গান্ধি কিভাবে খুন হলেন সেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা বলেন অরুণ ভৌমিক।