হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি নবান্নের
- আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
- / 90
পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে একটি জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা জোরদার করতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালে নাবালিকাকে ধর্ষণ, উলুবেড়িয়ার হাসপাতালে নার্সকে হুমকি ও মারধরের মতো ঘটনাগুলিতে নতুন করে রাজ্য সরগরম হওয়ার পর এই বৈঠক ডাকা হয়। এছাড়াও, দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ার উপর ধর্ষণের ঘটনা নিয়েও শোরগোল পড়েছিল। এসবের প্রেক্ষিতেই রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের সুপার, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ ও প্রশ্ন:
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান, ক্ষ্মপুরুষ শৌচাগারে নাবালিকাকে কী করে নিয়ে যাওয়া হল? কেন সিসিটিভিতে গোটা বিষয়টি ধরা পড়ল না?ক্ষ্ম একই সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পুরনো অপরাধের দায় কেন সরকারকে নিতে হবে, সেই প্রশ্নও ওঠে। উল্লেখ্য, এসএসকেএম কাণ্ডে ধৃত অভিযুক্তের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল বলে জানা গেছে।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও নির্দেশিকা:
হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:
🔴পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক: যে সব এজেন্সি থেকে প্রাইভেট সিকিউরিটি নেওয়া হচ্ছে, তাদের এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
🔴মনিটরিং ও মক ড্রিল: সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সচল বা অক্ষত আছে কিনা তা নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের জন্য মাঝে মাঝেই মক ড্রিল করতে হবে।
🔴বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: ওয়ার্ডের ভিতরে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
🔴ডিউটি রোস্টার ও রোল কল: প্রতিদিন ডিউটিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং ডিউটি শেষ হওয়ার সময়ে রোল কল করতে হবে। কারা ডিউটিতে থাকছেন, তা নিশ্চিত করতে রোস্টার তৈরি করতে হবে। এই রোস্টার অপরাধ সংঘটিত হলে তদন্তে সুবিধা দেবে।
🔴কর্মী নিয়োগে ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ যাচাই: কর্মী নিয়োগের আগে তাঁদের অতীত কাজের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ খুঁটিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
🔴নির্দিষ্ট পোশাক ও প্রশিক্ষণ: কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম বা পোশাক নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও কর্মী নিয়োগের পর তাঁদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
🔴আলো ও সিসিটিভি: হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত আলো এবং সিসিটিভি রাখতে হবে। কোনো সিসিটিভি খারাপ হলে তা তৎক্ষণাৎ বদলে দিতে হবে।















































