০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১১ টি মেডিকেল কলেজে শুরু হতে চলেছে জরুরি মেডিসিন বিভাগ, জেনে নিন বিস্তারিত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 85

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে এসএসকেএম হাসপাতাল ছাড়াও এবার ১১ টি হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে জরুরি মেডিসিন বিভাগ।উত্তরবঙ্গ  দুটি মেডিকেল কলেজেও এই পরিষেবা চালু শুরু হতে চলেছে বলেই খবর।১১টি মেডিক্যাল কলেজেই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে এক জন করে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পাশাপাশি ৯ জন করে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিতে। প্রতিটি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ১৩২ টি নতুন পদ তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

 

আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে এসআইআর বিরোধী মহামিছিলে মমতা-অভিষেক

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, এই পরিষেবা চালু হলে রোগীর জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করতে অনেক সুবিধা হবে।ইতিমধ্যেই হাসপাতাল গুলিতে ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

 

আরও পড়ুন: কলকাতায় নামল আঁধার, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক চিকিৎসক জানান, কমবেশি প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি  বিভাগ রয়েছে সঙ্গে রয়েছে মেডিসিন  বিভাগও। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ‘জরুরি মেডিসিন বিভাগের’ পরিষেবা এই প্রথম চালু করা হচ্ছে।

 

তবে কেনও এই পরিষেবা? এই পরিষেবা চালু হলে সাধারণ মানুষের কতটা সুবিধা হবে?

 

এই প্রসঙ্গে এক চিকিৎসক জানান, সাধারণত প্রবল শ্বাসকষ্ট, অ্যাকসিডেন্ট, স্ট্রোক- এর মতো আরও অনেক জটিল সমস্যায় সাধারণ মানুষরা জরুরি  বিভাগেই এসে থাকেন। সেখানে চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তরিত করে থাকে।এই প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ।অনেক সময়ে রোগীর প্রাণসংশয়ও তৈরি হয়। তাই এই জরুরি মেডিসিন বিভাগ থাকলে এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে

 

নয়া এই পরিষেবা শুরুর তালিকায় রয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ।

 

নয়া এই পরিষেবা সম্পর্কে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা জরুরি মেডিসিন বিভাগের বিজ্ঞপ্তি পেয়ে গেছেন।এদিন তিনি আরও জানান, এই পরিষেবা চালু হলে রোগীদের অনেক সুবিধা হবে। একটি সম্পূর্ণ পরিকাঠামো নিয়ে এই পরিষেবা চালু হলে সেখানে সর্বদা চিকিৎসক থাকবেন। সেক্ষেত্রে রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হবে না।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১১ টি মেডিকেল কলেজে শুরু হতে চলেছে জরুরি মেডিসিন বিভাগ, জেনে নিন বিস্তারিত

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে এসএসকেএম হাসপাতাল ছাড়াও এবার ১১ টি হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে জরুরি মেডিসিন বিভাগ।উত্তরবঙ্গ  দুটি মেডিকেল কলেজেও এই পরিষেবা চালু শুরু হতে চলেছে বলেই খবর।১১টি মেডিক্যাল কলেজেই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে এক জন করে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পাশাপাশি ৯ জন করে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিতে। প্রতিটি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ১৩২ টি নতুন পদ তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

 

আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে এসআইআর বিরোধী মহামিছিলে মমতা-অভিষেক

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, এই পরিষেবা চালু হলে রোগীর জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করতে অনেক সুবিধা হবে।ইতিমধ্যেই হাসপাতাল গুলিতে ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

 

আরও পড়ুন: কলকাতায় নামল আঁধার, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক চিকিৎসক জানান, কমবেশি প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি  বিভাগ রয়েছে সঙ্গে রয়েছে মেডিসিন  বিভাগও। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ‘জরুরি মেডিসিন বিভাগের’ পরিষেবা এই প্রথম চালু করা হচ্ছে।

 

তবে কেনও এই পরিষেবা? এই পরিষেবা চালু হলে সাধারণ মানুষের কতটা সুবিধা হবে?

 

এই প্রসঙ্গে এক চিকিৎসক জানান, সাধারণত প্রবল শ্বাসকষ্ট, অ্যাকসিডেন্ট, স্ট্রোক- এর মতো আরও অনেক জটিল সমস্যায় সাধারণ মানুষরা জরুরি  বিভাগেই এসে থাকেন। সেখানে চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তরিত করে থাকে।এই প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ।অনেক সময়ে রোগীর প্রাণসংশয়ও তৈরি হয়। তাই এই জরুরি মেডিসিন বিভাগ থাকলে এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে

 

নয়া এই পরিষেবা শুরুর তালিকায় রয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ।

 

নয়া এই পরিষেবা সম্পর্কে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা জরুরি মেডিসিন বিভাগের বিজ্ঞপ্তি পেয়ে গেছেন।এদিন তিনি আরও জানান, এই পরিষেবা চালু হলে রোগীদের অনেক সুবিধা হবে। একটি সম্পূর্ণ পরিকাঠামো নিয়ে এই পরিষেবা চালু হলে সেখানে সর্বদা চিকিৎসক থাকবেন। সেক্ষেত্রে রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হবে না।