০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতে লেখা পবিত্র কুরআন মাসহাফ উন্মোচিত তুরস্কে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 96

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ­ ইসলামের শুরুতে হাতে লিখে পবিত্র কুরআন সংরক্ষণ করা হতো। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের হাত ধরে ঐতিহ্যবাহী সেই ধারা ফের চালু হল তুরস্কে। পবিত্র লাইলাতুল কদরের দিন ইস্তান্বুলের গ্র্যান্ড চামলিকা মসজিদে ‘মাসহাফ’ নামে পরিচিত হাতে লেখা কুরআন উন্মোচন করেন তিনি। দীর্ঘ সাত বছরের প্রচেষ্টায় কুরআনের এই প্রতিলিপিটি তৈরি করা হয়। ১৮ শতকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ‘নাক্কাশানে’ ঐতিহ্য অব্যাহত রাখা হয় এর সজ্জায়। মাসহাফের ১০টি খণ্ড। খণ্ডগুলোতে কুরআন লেখা ও ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন ৬৬ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল, যারা তেজিপ (আলোকসজ্জার শিল্প বা সোনা দিয়ে বই অলংকৃত করার শিল্প) থেকে শুরু করে ক্যালিগ্রাফিসহ এ শাখার ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। তারা ইসলামিক মোটিফের সাথে কুরআনের প্রচ্ছদ এবং পৃষ্ঠা ডিজাইনে বিশেষজ্ঞ। দলটি কুরআন লেখার কাজে ব্যবহত কালি থেকে কাগজ পর্যন্ত প্রতিটি উপাদান নিজেরাই তৈরি করে। হস্তলিখিত কেতাবে প্রাচীন ইসলামি সভ্যতা এবং প্রাথমিক উসমানীয় যুগ থেকে মামলুক সালতানাত ও স্পেনের মুরস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বইয়ের নকশায় ব্যবহত ক্যালিগ্রাফি এবং অন্যান্য শিল্পের প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। জানা গেছে, নতুন এ সংস্করণটির প্রায় ১ হাজার কপি মুদ্রিত হবে এবং বিশ্বের বিখ্যাত মসজিদ ও গ্রন্থাগারের পাশাপাশি বিশিষ্ট আলেম ও মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এসব কপি।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ থেকে ইসরাইলকে বরখাস্তের দাবি তুলল তুরস্ক

আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাতে লেখা পবিত্র কুরআন মাসহাফ উন্মোচিত তুরস্কে

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ­ ইসলামের শুরুতে হাতে লিখে পবিত্র কুরআন সংরক্ষণ করা হতো। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের হাত ধরে ঐতিহ্যবাহী সেই ধারা ফের চালু হল তুরস্কে। পবিত্র লাইলাতুল কদরের দিন ইস্তান্বুলের গ্র্যান্ড চামলিকা মসজিদে ‘মাসহাফ’ নামে পরিচিত হাতে লেখা কুরআন উন্মোচন করেন তিনি। দীর্ঘ সাত বছরের প্রচেষ্টায় কুরআনের এই প্রতিলিপিটি তৈরি করা হয়। ১৮ শতকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ‘নাক্কাশানে’ ঐতিহ্য অব্যাহত রাখা হয় এর সজ্জায়। মাসহাফের ১০টি খণ্ড। খণ্ডগুলোতে কুরআন লেখা ও ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন ৬৬ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল, যারা তেজিপ (আলোকসজ্জার শিল্প বা সোনা দিয়ে বই অলংকৃত করার শিল্প) থেকে শুরু করে ক্যালিগ্রাফিসহ এ শাখার ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। তারা ইসলামিক মোটিফের সাথে কুরআনের প্রচ্ছদ এবং পৃষ্ঠা ডিজাইনে বিশেষজ্ঞ। দলটি কুরআন লেখার কাজে ব্যবহত কালি থেকে কাগজ পর্যন্ত প্রতিটি উপাদান নিজেরাই তৈরি করে। হস্তলিখিত কেতাবে প্রাচীন ইসলামি সভ্যতা এবং প্রাথমিক উসমানীয় যুগ থেকে মামলুক সালতানাত ও স্পেনের মুরস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বইয়ের নকশায় ব্যবহত ক্যালিগ্রাফি এবং অন্যান্য শিল্পের প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। জানা গেছে, নতুন এ সংস্করণটির প্রায় ১ হাজার কপি মুদ্রিত হবে এবং বিশ্বের বিখ্যাত মসজিদ ও গ্রন্থাগারের পাশাপাশি বিশিষ্ট আলেম ও মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এসব কপি।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ থেকে ইসরাইলকে বরখাস্তের দাবি তুলল তুরস্ক

আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ