০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শারিয়া আইন অনুযায়ী মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ:মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার
  • / 16

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহকে ‘দু:খজনক” এবং “দুর্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য করেছে।

আরও পড়ুন: পার্সোনাল ল’ বোর্ডের ব্রিগেড সমাবেশে ‘না’ কেন?

ল’বোর্ড এক বিবৃতিতে সাত দফা নির্দেশনায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের দিকে নজর রাখতে হবে এবং সহশিক্ষা সমন্বিত স্কুলে মেয়েদের ভর্তি করার দরকার নেই।

আরও পড়ুন: শরিয়া আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ তালিবান সরকারের

শারিয়া অনুসারে মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড – এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানী বলেন,  আন্ত:ধর্মীয় বিয়ে রোধে বাবা-মা, অভিভাবক এবং সারা দেশের মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: তালিবান ও শরিয়াহ আইনের বিরোধিতা, গ্রেফতার অধ্যাপক

মাওলানা বলেন, ইসলাম মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহকে বৈধ মনে করে না। অর্থাৎ‘শরিয়তের দৃষ্টিতে তা বৈধ নয়’।

মাওলানা রাহমানি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “এটি সামাজিক মানদণ্ড দ্বারা বৈধ বলে মনে হলেও শারিয়ার দৃষ্টিতে এটি বৈধ বলে বিবেচিত হয় না।”

ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, বাবা-মায়ের কাছ থেকে যথাযথ শিক্ষা না পাওয়া ও মিশ্র সংস্কৃতির কারণে অমুসলিমদের সঙ্গে আন্ত:ধর্ম বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রহমানি আরও দাবি করেছেন যে ল’বোর্ড এমন মুসলিম মেয়েদের কাছে এসেছে যারা অমুসলিম ছেলেদের বিয়ে করেছে। পরে তারা  কষ্টের মুখোমুখি হয়েছে। আমরা আবেদন  করেছি,  অভিভাবকদের সতর্ক থাকার এবং তরুণ ছেলে-মেয়েদের সঠিকভাবে পরিচালিত করার।

মাওলানা রাহমানি বলেন, ভারতে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে যখন এক শ্রেণির রাজনীতিকরা হৈচৈ করছেন তখন ‘উল্টো লাভ জিহাদ’এর ঘটনাও ঘটছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের, বিশেষ করে মেয়েদের বিয়ে দিতে বিলম্ব করা উচিত নয়। কারণ “দেরিতে বিয়ে এই ধরনের সমস্যার জন্ম দেয়।” বিবৃতিতে মসজিদের ইমাম ও আলেমদেরও আন্ত:বিবাহের অসুবিধা সম্পর্কে মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মাওলানা সুফিয়ান নিজামীও ভারতে বিপরীত লাভ জিহাদ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।তিনি বলেন, “দেশে কোন কোন এলাকায় মুসলিম মেয়েরা প্রলোভনে পড়ে প্রেমের নামে ধর্মান্তরিত হয়। মুসলিম মেয়েদের শুধুমাত্র একজন মুসলিমকে বিয়ে করা উচিত।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শারিয়া আইন অনুযায়ী মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ:মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহকে ‘দু:খজনক” এবং “দুর্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য করেছে।

আরও পড়ুন: পার্সোনাল ল’ বোর্ডের ব্রিগেড সমাবেশে ‘না’ কেন?

ল’বোর্ড এক বিবৃতিতে সাত দফা নির্দেশনায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের দিকে নজর রাখতে হবে এবং সহশিক্ষা সমন্বিত স্কুলে মেয়েদের ভর্তি করার দরকার নেই।

আরও পড়ুন: শরিয়া আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ তালিবান সরকারের

শারিয়া অনুসারে মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড – এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানী বলেন,  আন্ত:ধর্মীয় বিয়ে রোধে বাবা-মা, অভিভাবক এবং সারা দেশের মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: তালিবান ও শরিয়াহ আইনের বিরোধিতা, গ্রেফতার অধ্যাপক

মাওলানা বলেন, ইসলাম মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিবাহকে বৈধ মনে করে না। অর্থাৎ‘শরিয়তের দৃষ্টিতে তা বৈধ নয়’।

মাওলানা রাহমানি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “এটি সামাজিক মানদণ্ড দ্বারা বৈধ বলে মনে হলেও শারিয়ার দৃষ্টিতে এটি বৈধ বলে বিবেচিত হয় না।”

ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, বাবা-মায়ের কাছ থেকে যথাযথ শিক্ষা না পাওয়া ও মিশ্র সংস্কৃতির কারণে অমুসলিমদের সঙ্গে আন্ত:ধর্ম বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রহমানি আরও দাবি করেছেন যে ল’বোর্ড এমন মুসলিম মেয়েদের কাছে এসেছে যারা অমুসলিম ছেলেদের বিয়ে করেছে। পরে তারা  কষ্টের মুখোমুখি হয়েছে। আমরা আবেদন  করেছি,  অভিভাবকদের সতর্ক থাকার এবং তরুণ ছেলে-মেয়েদের সঠিকভাবে পরিচালিত করার।

মাওলানা রাহমানি বলেন, ভারতে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে যখন এক শ্রেণির রাজনীতিকরা হৈচৈ করছেন তখন ‘উল্টো লাভ জিহাদ’এর ঘটনাও ঘটছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের, বিশেষ করে মেয়েদের বিয়ে দিতে বিলম্ব করা উচিত নয়। কারণ “দেরিতে বিয়ে এই ধরনের সমস্যার জন্ম দেয়।” বিবৃতিতে মসজিদের ইমাম ও আলেমদেরও আন্ত:বিবাহের অসুবিধা সম্পর্কে মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মাওলানা সুফিয়ান নিজামীও ভারতে বিপরীত লাভ জিহাদ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।তিনি বলেন, “দেশে কোন কোন এলাকায় মুসলিম মেয়েরা প্রলোভনে পড়ে প্রেমের নামে ধর্মান্তরিত হয়। মুসলিম মেয়েদের শুধুমাত্র একজন মুসলিমকে বিয়ে করা উচিত।”