ত্রিপুরায় ভোট চলাকালীন আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

- আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
- / 15
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরায় ভোট চলাকালীন আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আরও ২ কোম্পানি বাহিনী নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন শুরু হতেই সন্ত্রাসের ছবি। আগরতলায় পূর্ব থানায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তৃণমূলের।
কমিশন সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে আগরতলার প্রতিটি বুথে পাঁচ জন করে সশস্ত্র জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। অন্য পুর অঞ্চলগুলির স্পর্শকাতর বুথে থাকবেন চার জন করে।
অশান্তি ঠেকাতে বুধবার থেকেই রাজধানী আগরতলা-সহ বিভিন্ন পুরসভার বুথে বুথে সিআরপিএফ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) বাহিনী রয়েছে।
২০ টি পুর অঞ্চলের (আগরতলা পুরনিগম, ১৩ পুর পরিষদ এবং ছ’টি নগর পঞ্চায়েত) ৩৩৪ টি ওয়ার্ডে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১২ টি ওয়ার্ডে জিতে গিয়েছে বিজেপি। সেই হিসেবে ১৪ টি পুর অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হবে। বুথের সংখ্যা ৬৪৪। ৩৭০ টি বুথকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ‘স্পর্শকাতর’ বুথের সংখ্যা ২৭৪।
বেলাগাম সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়েই চলছে ভোটগ্রহণ। তৃণমূলের অভিযোগ, আগরতলার বিভিন্ন বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করছে বিজেপি। চার নম্বরের ওয়ার্ডের বাইরে জমায়েত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পরে সেই জমায়েত হটিয়ে দেয় পুলিশ।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আট নম্বর বুথে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ, এক মহিলার হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।
আগরতলায় পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্কুলের তৃণমূলের দু’জন পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূল এজেন্টদের দাবি, মক পোলিংয়ের সময় এজেন্টদের মারধর করা হয়। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, এক মহিলা এজেন্টের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ভোটের আগের রাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। আমবাসায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে আগরতলার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বাইক বাহিনীর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিলোনিয়ায় হামলা অভিযোগ করেছে সিপিআইএম। বিজেপির দাবি, বিরোদী দলের সংগঠন নেই। তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
আগরতলা পৌরনিগমসহ ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ২০টি পৌর এবং নগর সংস্থার ভোটগ্রহণ চলছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বুথে বুথে ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে। পাহারার রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।