৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সরকার পতন নিয়ে দায় এড়ালেন ট্রাম্প, চাপে ফেললেন দিল্লিকে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 177

ওয়াশিংটন, ১৪ জানুয়ারি: বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ – এর কোনো ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডে ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে ট্রাম্প এ কথা জানান।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ডিপ স্টেট’ বলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সদস্যদের, বিশেষ করে এফবিআই ও সিআইএর কর্মকর্তাদের গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে। গোপন এই নেটওয়ার্কে অনির্বাচিত সরকারি-বেসরকারি প্রভাবশালী লোকজন থাকেন। রাজনৈতিক সরকারের সমান্তরালে নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বাধীনভাবে এই নেটওয়ার্ক কাজ করার চেষ্টা করে থাকে।

আরও পড়ুন: স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরও ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল ট্রাম্প প্রশাসন

 

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রশ্নোত্তর পর্বে সেখানে উপস্থিত ভারতীয় একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ, আমরা দেখেছি বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তখন মুহাম্মদ ইউনূস জুনিয়র সরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশে ডিপ স্টেটের ভূমিকা কী?’

 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না…এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্পষ্ট করে বললে কয়েক শ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে পড়ছি। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে বলার ভার আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেব।’

 

ট্রাম্পের এই কথার পর মোদি উত্তর দিতে শুরু করেন। তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। এক সাংবাদিক তাঁর কাছে;‘বাংলাদেশের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেব’;ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। মিশ্রি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যা বলব…দুই নেতার আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও ভারত এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশের সরকার পতন নিয়ে দায় এড়ালেন ট্রাম্প, চাপে ফেললেন দিল্লিকে

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

ওয়াশিংটন, ১৪ জানুয়ারি: বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ – এর কোনো ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডে ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে ট্রাম্প এ কথা জানান।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ডিপ স্টেট’ বলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সদস্যদের, বিশেষ করে এফবিআই ও সিআইএর কর্মকর্তাদের গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে। গোপন এই নেটওয়ার্কে অনির্বাচিত সরকারি-বেসরকারি প্রভাবশালী লোকজন থাকেন। রাজনৈতিক সরকারের সমান্তরালে নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বাধীনভাবে এই নেটওয়ার্ক কাজ করার চেষ্টা করে থাকে।

আরও পড়ুন: স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরও ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল ট্রাম্প প্রশাসন

 

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রশ্নোত্তর পর্বে সেখানে উপস্থিত ভারতীয় একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ, আমরা দেখেছি বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তখন মুহাম্মদ ইউনূস জুনিয়র সরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশে ডিপ স্টেটের ভূমিকা কী?’

 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না…এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্পষ্ট করে বললে কয়েক শ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে পড়ছি। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে বলার ভার আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেব।’

 

ট্রাম্পের এই কথার পর মোদি উত্তর দিতে শুরু করেন। তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। এক সাংবাদিক তাঁর কাছে;‘বাংলাদেশের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেব’;ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। মিশ্রি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যা বলব…দুই নেতার আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও ভারত এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন।