তিন প্রতিবাদী পড়ুয়াকে বহিষ্কারের চরম সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর

- আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার
- / 7
দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর : তিন প্রতিবাদী পড়ুয়াকে বহিষ্কারের চরম সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটায় তিন ছাত্রছাত্রীকে এভাবে বহিষ্কারের রাস্তায় হাঁটায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর বিভিন্ন মহল।
জানা গেছে, তিন ছাত্রছাত্রীকে আগামী তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মর্মে সোমবার রাতে তিন ছাত্র ছাত্রীর হাতে চিঠি ধরানো হয়েছে। পাশাপাশি, বলা হয়েছে তাদের যদি কোনও বক্তব্য থাকে বা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য কোন আবেদন করতে চায়, তা আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে বিশ্বভারতীর প্রক্টরের কাছে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে আবেদন না করলে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১৪ জানুয়ারি অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ এবং হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসিয়ে তাদেরকে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়। তাদের প্রথমে তিন মাসের জন্যে সাসপেন্ড করা হয়। তাদের সাসপেনশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, একটি তদন্ত কমিটি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবে। সাসপেনশনের সময়সীমা শেষ হতেই ফের আবার তাদের সাসপেনশনের মেয়াদ বৃদ্ধি হয় তিন মাসের জন্যে। দ্বিতীয় বারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে, অর্থাৎ ১৪ জুলাই থেকে ফের ৩ মাসের জন্য তাদের সাসপেন্ড করা হয়। তার মধ্যেই সোমবার রাতে ওই তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হল।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর গত ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির বৈঠকের এই তিন ছাত্র-ছাত্রীকে বহিষ্কারের করবার সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সেদিনই ঘোষণা করার কথা ছিল। তবে সেদিন ওই তিন ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার না করে সোমবার বহিষ্কারের চিঠি ধরিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এই তিন ‘বাম মনস্ক’ ছাত্র ছাত্রীকে গত ১৫ জুনের ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ‘মাওবাদী’ বলেও অভিযুক্ত করেছিলেন। এদিকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ তিন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। এমনকি দ্রুত সেই ঘটনার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশও দেয় ইউজিসি।