২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, উঠল দাবি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 50

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  মঙ্গলবার ভারতের স্থানীয় সময় সাড়ে তিনটে নাগাদ ইরান-ইসারাইল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রথম ১২ ঘণ্টা ইরান এবং পরবর্তী ১২ ঘণ্টা ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানান। ট্রাম্প নিজের সোশাল মিডিয়া ট্রুথে পোস্ট করে এই কথা জানান। তার খানিক বাদেই ট্রাম্পের মন্তব্য নসাৎ করে দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরান এই ধরনের চুক্তিকে স্বাক্ষর করেনি বলে জানান তিনি। এরপরেই ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। হামলায় তিনজন মারা যায় এবং আহত বহু।

এর পরেই ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধের চিত্রনাট্যে নতুন মোড়। ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানান ইসরাইল প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইরান সরকারি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরান যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন জানিয়েছে। তবে ইরানের সরকারি তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: আমেরিকা ও পশ্চিমাদের শিং ভেঙে দিয়েছে ইরান, তেহরানে ‘বিজয়’ মিছিল

ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতির মাঝেই গাজায় আটকে থাকা ইসরাইলি বন্দিদের পরিবারগুলোর দাবি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তারা জানিয়েছে প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।

আরও পড়ুন: সংঘর্ষ বিরতির জল্পনার মাঝেই ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান! 

‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’  সোশাল মিডিয়ায় লিখেছে, “যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে গাজাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন দ্রুত এমন আলোচনায় যুক্ত হয় যা সকল বন্দির মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসানের দিকে নিয়ে যাবে। ইরানের সঙ্গে যদি যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়, তবে গাজার যুদ্ধও বন্ধ করা সম্ভব।”

আরও পড়ুন: ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে তোপ সোনিয়া গান্ধীর

ফোরামের তরফে হুঁশিয়ার দিয়ে বলা হয়েছে, “ইরানে অভিযান শেষ করে যদি তা বন্দিদের মুক্তির জন্য কাজে না লাগে, তবে তা হবে মারাত্মকভাবে কূটনৈতিক ব্যর্থতা।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, উঠল দাবি

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  মঙ্গলবার ভারতের স্থানীয় সময় সাড়ে তিনটে নাগাদ ইরান-ইসারাইল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রথম ১২ ঘণ্টা ইরান এবং পরবর্তী ১২ ঘণ্টা ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানান। ট্রাম্প নিজের সোশাল মিডিয়া ট্রুথে পোস্ট করে এই কথা জানান। তার খানিক বাদেই ট্রাম্পের মন্তব্য নসাৎ করে দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরান এই ধরনের চুক্তিকে স্বাক্ষর করেনি বলে জানান তিনি। এরপরেই ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। হামলায় তিনজন মারা যায় এবং আহত বহু।

এর পরেই ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধের চিত্রনাট্যে নতুন মোড়। ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানান ইসরাইল প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইরান সরকারি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরান যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন জানিয়েছে। তবে ইরানের সরকারি তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: আমেরিকা ও পশ্চিমাদের শিং ভেঙে দিয়েছে ইরান, তেহরানে ‘বিজয়’ মিছিল

ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতির মাঝেই গাজায় আটকে থাকা ইসরাইলি বন্দিদের পরিবারগুলোর দাবি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তারা জানিয়েছে প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।

আরও পড়ুন: সংঘর্ষ বিরতির জল্পনার মাঝেই ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান! 

‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’  সোশাল মিডিয়ায় লিখেছে, “যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে গাজাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন দ্রুত এমন আলোচনায় যুক্ত হয় যা সকল বন্দির মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসানের দিকে নিয়ে যাবে। ইরানের সঙ্গে যদি যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়, তবে গাজার যুদ্ধও বন্ধ করা সম্ভব।”

আরও পড়ুন: ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে তোপ সোনিয়া গান্ধীর

ফোরামের তরফে হুঁশিয়ার দিয়ে বলা হয়েছে, “ইরানে অভিযান শেষ করে যদি তা বন্দিদের মুক্তির জন্য কাজে না লাগে, তবে তা হবে মারাত্মকভাবে কূটনৈতিক ব্যর্থতা।”