১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষ আজ সব সমালোচনার জবাব দিয়েছে, দিদির দেখানো পথেই চলতে চাইঃ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 12

ছবি-সন্দীপ সাহা

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ নমিনেশনের দিন থেকেই জনতার নজরে তিনি। কারণ তিনি মমতার ভাতৃবধূ। তাই তার দিকে সকলের নজর ছিল। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি শুধু জিতলেনই না, বিরোধীদের সব সমালোচনার জবাব দিলেন। এদিন বিজয়ী ঘোষণা হওয়ার পর কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন–  ‘সেই মনোনয়নের দিন থেকে সমালোচনা হচ্ছে। তবে মানুষ সব কিছুর জবাব দিয়েছে। এসব আর মনে রাখতে চাই না। বরং মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এলাকার মানুষের যা চাহিদা তা যাতে সঠিকভাবে পূরণ হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাই। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই কাজ করতে চাই।

 

আরও পড়ুন: ১৪, ৮৬৭ ভোটে জয়ী ফিরহাদ হাকিম

এ দিন সংবাদমাধ্যমের নজর শুরু থেকেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রীর দিকে। কারণ নমিনেশনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কোটিপতি ভাতৃবধূকে নিয়ে বিরোধীরা রীতিমতো তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে। যদিও সে সময় কাজরী দেবী এবং তার স্বামী দুজনেই স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন এই অর্থ তাদের বৈধ উপায়ে এসেছে। রীতিমতো নিয়ম করে এর জন্য ইনকাম ট্যাক্স দেন তারা। অতএব এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই। যদিও তাতে ও বিতর্ক থামেনি বরং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: গণ উৎসবে গণতন্ত্রের জয়ঃ মমতা

আজ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হওয়ার পর স্বস্তিতে ছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তার পুত্র আবেশকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলর বলেছেন– ‘আমার হয়ে সমস্ত জবাব যে মানুষকে ভোট বাক্সে দিয়েছেন তাতেই আমি খুশি।’

উল্লেখ্য– হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ব্যানার্জি পরিবার থেকে কাজরী তৃতীয় যিনি জন-প্রতিনিধি হলেন। ৮৪ সালে এই বাড়ি থেকেই প্রথম জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুতেই ছিলেন তিনি জায়েন্ট কিলার। এর ঠিক ৩০ বছর বাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে তিনি হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এবার এই বাড়ি থেকেই পুরমাতা হলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মানুষ আজ সব সমালোচনার জবাব দিয়েছে, দিদির দেখানো পথেই চলতে চাইঃ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ নমিনেশনের দিন থেকেই জনতার নজরে তিনি। কারণ তিনি মমতার ভাতৃবধূ। তাই তার দিকে সকলের নজর ছিল। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি শুধু জিতলেনই না, বিরোধীদের সব সমালোচনার জবাব দিলেন। এদিন বিজয়ী ঘোষণা হওয়ার পর কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন–  ‘সেই মনোনয়নের দিন থেকে সমালোচনা হচ্ছে। তবে মানুষ সব কিছুর জবাব দিয়েছে। এসব আর মনে রাখতে চাই না। বরং মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এলাকার মানুষের যা চাহিদা তা যাতে সঠিকভাবে পূরণ হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাই। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই কাজ করতে চাই।

 

আরও পড়ুন: ১৪, ৮৬৭ ভোটে জয়ী ফিরহাদ হাকিম

এ দিন সংবাদমাধ্যমের নজর শুরু থেকেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রীর দিকে। কারণ নমিনেশনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কোটিপতি ভাতৃবধূকে নিয়ে বিরোধীরা রীতিমতো তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে। যদিও সে সময় কাজরী দেবী এবং তার স্বামী দুজনেই স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন এই অর্থ তাদের বৈধ উপায়ে এসেছে। রীতিমতো নিয়ম করে এর জন্য ইনকাম ট্যাক্স দেন তারা। অতএব এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই। যদিও তাতে ও বিতর্ক থামেনি বরং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: গণ উৎসবে গণতন্ত্রের জয়ঃ মমতা

আজ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হওয়ার পর স্বস্তিতে ছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তার পুত্র আবেশকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলর বলেছেন– ‘আমার হয়ে সমস্ত জবাব যে মানুষকে ভোট বাক্সে দিয়েছেন তাতেই আমি খুশি।’

উল্লেখ্য– হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ব্যানার্জি পরিবার থেকে কাজরী তৃতীয় যিনি জন-প্রতিনিধি হলেন। ৮৪ সালে এই বাড়ি থেকেই প্রথম জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুতেই ছিলেন তিনি জায়েন্ট কিলার। এর ঠিক ৩০ বছর বাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে তিনি হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এবার এই বাড়ি থেকেই পুরমাতা হলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।