০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচণ্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলের ঝোরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, রবিবার
  • / 116

প্রতীকী ছবি

শুভজিৎ দেবনাথ: প্রচণ্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলের ঝোরা। এমন পরিস্থিতিতে  অসহায় বন্যপ্রাণীরাও। কোথায় জল পান করবে, ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেনা।  বন দফতর সূত্রে খবর ,জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মোরাঘাট জঙ্গল আয়তনে প্রায় ৫৫১১.৬.০ হেক্টর । রয়েছে চারটি বিট অফিস। খট্টিমারি বিটের দুটি ও তোতাপাড়া বিটের একটি ঝোরা বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রখর সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বন্যপ্রাণীরা নিয়মিত জল পান করতেন। এই জঙ্গলেই রয়েছে হাতি,লেপার্ড , হরিণ, বাইসন,বুনো শুকর, ময়ূর সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পরিবেশ প্রেমিদের দাবি, বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হোক। চারিদিকে তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই । এইসময় বন্যপ্রাণীদের ও প্রচন্ড পরিমাণে জলের প্রয়োজন পড়ে। বুনো হাতির পাল নিয়মিত জলে নেমে স্নান করে থাকে। যেসমস্ত জলাশয় গুলোকে নির্ভর করে বন্যপ্রাণীরা বসবাস করে সূর্যের তাপে সেই জলাশয় ঝোরা গুলোও যেনো শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে জঙ্গলে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীরা সঠিক ভাবে জল  না পাওয়ার কারণে অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে। সেক্ষেত্রে মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকেই । তাই বিকল্প কোনো জলের ব্যাবস্থা করার দাবি করছে সকলেই ।

ডুয়ার্সের পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার এন্ড এডভেঞ্চার সোসাইটির (ন্যাস) কর্মকর্তা নফসফ আলী বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে জঙ্গলগুলিতে জল কষ্টের দেখা দিচ্ছে। বন দফতর কৃত্রিম উপায়ে যদি জঙ্গল গুলতে জলের ব্যাবস্থা করতে পারে ,তাহলে বন্যপ্রাণীদের গরমে জল কষ্টের সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে। নাহলে বন্য পানীরা জলের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়া আসবে।এতে মানুষ ও বন্য প্রাণীর সংঘাতের আশঙ্কা থাকবে।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের কাঠামবাড়ি জঙ্গলে আগুন, চাঞ্চল্য

যদিও জলপাইগুড়ি অনারানি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, জঙ্গলের ভেতর থাকা নদীগুলোর এই সময় কিছুটা জল কমে যায়। তবে জলের অভাব তেমনভাবে নেই। সমস্ত জঙ্গলে বনদপ্তরে কর্মীরা নিয়মিত নজর রাখছেন। বেশকিছু নতুন করে জলাশয় গুলো সংস্কার করার পরিকল্পনা চলছে। তবে এখনো দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গে গরম ও জলকষ্ট দেখা দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে তেমন সম্ভাবনা নেই। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জল, জঙ্গল, নদীর অধিকার কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সমাজকর্মী মেধা পাটেকর

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সে জলের টানে খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বানর দল

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রচণ্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলের ঝোরা

আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, রবিবার

শুভজিৎ দেবনাথ: প্রচণ্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলের ঝোরা। এমন পরিস্থিতিতে  অসহায় বন্যপ্রাণীরাও। কোথায় জল পান করবে, ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেনা।  বন দফতর সূত্রে খবর ,জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মোরাঘাট জঙ্গল আয়তনে প্রায় ৫৫১১.৬.০ হেক্টর । রয়েছে চারটি বিট অফিস। খট্টিমারি বিটের দুটি ও তোতাপাড়া বিটের একটি ঝোরা বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রখর সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বন্যপ্রাণীরা নিয়মিত জল পান করতেন। এই জঙ্গলেই রয়েছে হাতি,লেপার্ড , হরিণ, বাইসন,বুনো শুকর, ময়ূর সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পরিবেশ প্রেমিদের দাবি, বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হোক। চারিদিকে তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই । এইসময় বন্যপ্রাণীদের ও প্রচন্ড পরিমাণে জলের প্রয়োজন পড়ে। বুনো হাতির পাল নিয়মিত জলে নেমে স্নান করে থাকে। যেসমস্ত জলাশয় গুলোকে নির্ভর করে বন্যপ্রাণীরা বসবাস করে সূর্যের তাপে সেই জলাশয় ঝোরা গুলোও যেনো শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে জঙ্গলে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীরা সঠিক ভাবে জল  না পাওয়ার কারণে অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে। সেক্ষেত্রে মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকেই । তাই বিকল্প কোনো জলের ব্যাবস্থা করার দাবি করছে সকলেই ।

ডুয়ার্সের পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার এন্ড এডভেঞ্চার সোসাইটির (ন্যাস) কর্মকর্তা নফসফ আলী বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে জঙ্গলগুলিতে জল কষ্টের দেখা দিচ্ছে। বন দফতর কৃত্রিম উপায়ে যদি জঙ্গল গুলতে জলের ব্যাবস্থা করতে পারে ,তাহলে বন্যপ্রাণীদের গরমে জল কষ্টের সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে। নাহলে বন্য পানীরা জলের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়া আসবে।এতে মানুষ ও বন্য প্রাণীর সংঘাতের আশঙ্কা থাকবে।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের কাঠামবাড়ি জঙ্গলে আগুন, চাঞ্চল্য

যদিও জলপাইগুড়ি অনারানি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, জঙ্গলের ভেতর থাকা নদীগুলোর এই সময় কিছুটা জল কমে যায়। তবে জলের অভাব তেমনভাবে নেই। সমস্ত জঙ্গলে বনদপ্তরে কর্মীরা নিয়মিত নজর রাখছেন। বেশকিছু নতুন করে জলাশয় গুলো সংস্কার করার পরিকল্পনা চলছে। তবে এখনো দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গে গরম ও জলকষ্ট দেখা দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে তেমন সম্ভাবনা নেই। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জল, জঙ্গল, নদীর অধিকার কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সমাজকর্মী মেধা পাটেকর

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সে জলের টানে খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বানর দল