০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষার শুরুতেই জলমগ্ন শহর, সপ্তাহান্তে বদলাবে আবহাওয়া

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২৩, বুধবার
  • / 20

বৃষ্টির ছবি- (রমিত বন্দ্যোপাধ্যায়)

পুবের কলম প্রতিবেদক: বর্ষা শুরু হতেই ফুটে উঠেছে কলকাতার চেনা জলছবি। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয় শহরে। যার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় কলকাতার একাধিক এলাকা। গাছ পরে ঘটে বিপত্তি। এদিকে বেশ কিছু এলাকা সকালের দিকে জলমগ্ন থাকায় অসুবিধার পড়তে হয় অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ পথচারীদের। পরে পুরসভার তৎপরতায় দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়।

 

এদিন বৃষ্টির জেরে গাছ ভেঙে পড়ে রাসবিহারি অ্যাভিনিউতে। সুবিশাল এক অশ্বত্থ গাছ উপড়ে গিয়ে পরে রাস্তার মাঝে থাকা ডিভাইডার লোহার রেলিং-এর ওপর। রেলিং ছিটকে বেরিয়ে যায় রাস্তার ওপর প্রান্তে। যার জেরে অফিস টাইমে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাসবিহারী মোড় থেকে গড়িয়াহাট গামী লেনে। এদিকে গাছের মূল অংশ ভেঙে পড়েছিল গড়িয়াহাট থেকে লেক মার্কেটে আসার দিকের লেনে। সেই রাস্তা ফাঁকা করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়। বড় গাছ সরানোর জন্য ভারী ক্রেন পুলিশ, পুরসভা ও দমকলের কাছে না থাকায় অনেকটা সময় নষ্ঠ হয়। গাছ কেটে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে রাস্তা ফাঁকা করতে হয়েছে।

অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে জল জমে যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায়। প্রায় হাঁটু জল জমে যায় বেহালা, টালিগঞ্জ, যাদবপুর, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দুধার উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এর দু’ধারের বেশ কিছু এলাকা, সিঁথি, কাশীপুর, বৌবাজার, তিলজলা ও কসবায়। জল জমে দুর্ভোগে পড়তে হয় গিরিশ অ্যাভিনিউ, হাতিবাগান, ঠনঠনিয়া ও মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট সেন্ট্রাল এভেনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড, রফি আহমেদ কিদওয়াই এলাকার বাসিন্দাদের। দক্ষিণ কলকাতার হেস্টিংস স্ট্যান্ড রো, ক্যাসুরিনা, প্রণবানন্দ সরণী, লেক অ্যাভেনিউ, শরত্ বসু রোড , সাউদার্ণ এভেনিউ, চারু মার্কেট, বেহালা চণ্ডীতলায় বহু রাস্তায় জল জমার ফলে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা।

বর্ষার শুরুতেই জলমগ্ন শহর, সপ্তাহান্তে বদলাবে আবহাওয়া

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আরও ২৪ ঘন্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। কলকাতা-সহ উপকূল সংলগ্ন বাকি জেলাগুলিতেও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টায়। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে, বাড়বে তাপমাত্রা। দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তাপমাত্রার সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও।

অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা।

ইতিমধ্যেই তিস্তা তোর্সা জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলি জলস্তর বাড়ছে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। একইসঙ্গে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার আশঙ্কা।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বর্ষার শুরুতেই জলমগ্ন শহর, সপ্তাহান্তে বদলাবে আবহাওয়া

আপডেট : ২৮ জুন ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: বর্ষা শুরু হতেই ফুটে উঠেছে কলকাতার চেনা জলছবি। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয় শহরে। যার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় কলকাতার একাধিক এলাকা। গাছ পরে ঘটে বিপত্তি। এদিকে বেশ কিছু এলাকা সকালের দিকে জলমগ্ন থাকায় অসুবিধার পড়তে হয় অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ পথচারীদের। পরে পুরসভার তৎপরতায় দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়।

 

এদিন বৃষ্টির জেরে গাছ ভেঙে পড়ে রাসবিহারি অ্যাভিনিউতে। সুবিশাল এক অশ্বত্থ গাছ উপড়ে গিয়ে পরে রাস্তার মাঝে থাকা ডিভাইডার লোহার রেলিং-এর ওপর। রেলিং ছিটকে বেরিয়ে যায় রাস্তার ওপর প্রান্তে। যার জেরে অফিস টাইমে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাসবিহারী মোড় থেকে গড়িয়াহাট গামী লেনে। এদিকে গাছের মূল অংশ ভেঙে পড়েছিল গড়িয়াহাট থেকে লেক মার্কেটে আসার দিকের লেনে। সেই রাস্তা ফাঁকা করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়। বড় গাছ সরানোর জন্য ভারী ক্রেন পুলিশ, পুরসভা ও দমকলের কাছে না থাকায় অনেকটা সময় নষ্ঠ হয়। গাছ কেটে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে রাস্তা ফাঁকা করতে হয়েছে।

অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে জল জমে যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায়। প্রায় হাঁটু জল জমে যায় বেহালা, টালিগঞ্জ, যাদবপুর, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দুধার উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এর দু’ধারের বেশ কিছু এলাকা, সিঁথি, কাশীপুর, বৌবাজার, তিলজলা ও কসবায়। জল জমে দুর্ভোগে পড়তে হয় গিরিশ অ্যাভিনিউ, হাতিবাগান, ঠনঠনিয়া ও মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট সেন্ট্রাল এভেনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড, রফি আহমেদ কিদওয়াই এলাকার বাসিন্দাদের। দক্ষিণ কলকাতার হেস্টিংস স্ট্যান্ড রো, ক্যাসুরিনা, প্রণবানন্দ সরণী, লেক অ্যাভেনিউ, শরত্ বসু রোড , সাউদার্ণ এভেনিউ, চারু মার্কেট, বেহালা চণ্ডীতলায় বহু রাস্তায় জল জমার ফলে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা।

বর্ষার শুরুতেই জলমগ্ন শহর, সপ্তাহান্তে বদলাবে আবহাওয়া

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আরও ২৪ ঘন্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। কলকাতা-সহ উপকূল সংলগ্ন বাকি জেলাগুলিতেও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টায়। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে, বাড়বে তাপমাত্রা। দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তাপমাত্রার সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও।

অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা।

ইতিমধ্যেই তিস্তা তোর্সা জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলি জলস্তর বাড়ছে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। একইসঙ্গে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার আশঙ্কা।