২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেলঙ্গানার ভদ্রকালী মন্দিরে গো-সেবায় ব্যস্ত মোদি   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার
  • / 42

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভোটমুখী তেলেঙ্গানাকে পাখির চোখ করে একাধিক কর্মসূচী নিয়ে সে রাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী। কর্নাটক বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হলেও তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে সেই একই রোড-ম্যাপে হাঁটছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই কৌশলের মূল অভিমুখ- দলের প্রচার কর্মসূচির সূচনার পাশাপাশি, বিপুল অর্থের সরকারি প্রকল্পের মেলবন্ধন। শনিবার ওয়ারঙ্গলের ঐতিহাসিক ভদ্রকালী মন্দিরেও যান প্রধানমন্ত্রী। মন্দির চত্বরে থাকা গরুদের সেবা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এমনকী নিজের হাতে গরুদের খাইয়েও দেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী প্রায়  ৬১০০  কোটি টাকার বেশ কয়েকটি পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া অর্থনৈতিক করিডোর এবং ওয়ারাঙ্গল-করিমনগর সড়ককে চার লেনে পরিবর্তিত করার প্রকল্প। এদিন একটি জনসভার আয়োজনও করেন তিনি। এদিনের সভায়  মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস এবং শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, কংগ্রেসের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের বৃত্তে বন্দি রয়েছে। এদের দুর্নীতি গোটা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে। এছাড়া তেলেঙ্গানা রাজবংশীয় দলগুলির মধ্যে আটকা পড়েছে। বিআরএসের সরকার রাজ্যের উন্নয়নের দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ না করে মোদি সরকারের সমালোচনা করতেই সময় পার করছে।  রাজ্যে অর্থনীতি যে ভরাডুবি সে দিকে ‘নেত্রপাত’ করার সময় তাঁর নেই। অত্যুক্তি নয় কংগ্রেস ও বিআরএস উভয়েই এই রাজ্যের জন্য বিপজ্জনক।

এদিন কেসিআরের শাসনামলকেও তীব্র তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেসিআরের শাসন দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। তেলেঙ্গানা আজ দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে আমাদের একটি সুবর্ণ সময় আছে, আমাদের এই সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে উন্নয়নের দিক থেকে দেশের কোনও প্রান্ত যেন পিছিয়ে না থাকে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি, জি কিশান রেড্ডি, তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলসাই সৌন্দররাজন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষলগ্নে তেলেঙ্গানায় ভোট হওয়ার কথা। ভোটমুখী এই রাজ্যে কয়েক মাস ধরে বিজেপি ও শাসকদল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে বহু রাজনীতিক।এ হেন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে চারটি আসনে জেতা তেলঙ্গানায় বিজেপির প্রভাব খানিকটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসের মদতদাতাকে পুরস্কার কেন?’ জি-৭ বৈঠকে সরব মোদি

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, চাইলেন হস্তক্ষেপ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তেলঙ্গানার ভদ্রকালী মন্দিরে গো-সেবায় ব্যস্ত মোদি   

আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভোটমুখী তেলেঙ্গানাকে পাখির চোখ করে একাধিক কর্মসূচী নিয়ে সে রাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী। কর্নাটক বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হলেও তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে সেই একই রোড-ম্যাপে হাঁটছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই কৌশলের মূল অভিমুখ- দলের প্রচার কর্মসূচির সূচনার পাশাপাশি, বিপুল অর্থের সরকারি প্রকল্পের মেলবন্ধন। শনিবার ওয়ারঙ্গলের ঐতিহাসিক ভদ্রকালী মন্দিরেও যান প্রধানমন্ত্রী। মন্দির চত্বরে থাকা গরুদের সেবা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এমনকী নিজের হাতে গরুদের খাইয়েও দেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী প্রায়  ৬১০০  কোটি টাকার বেশ কয়েকটি পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া অর্থনৈতিক করিডোর এবং ওয়ারাঙ্গল-করিমনগর সড়ককে চার লেনে পরিবর্তিত করার প্রকল্প। এদিন একটি জনসভার আয়োজনও করেন তিনি। এদিনের সভায়  মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস এবং শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, কংগ্রেসের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের বৃত্তে বন্দি রয়েছে। এদের দুর্নীতি গোটা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে। এছাড়া তেলেঙ্গানা রাজবংশীয় দলগুলির মধ্যে আটকা পড়েছে। বিআরএসের সরকার রাজ্যের উন্নয়নের দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ না করে মোদি সরকারের সমালোচনা করতেই সময় পার করছে।  রাজ্যে অর্থনীতি যে ভরাডুবি সে দিকে ‘নেত্রপাত’ করার সময় তাঁর নেই। অত্যুক্তি নয় কংগ্রেস ও বিআরএস উভয়েই এই রাজ্যের জন্য বিপজ্জনক।

এদিন কেসিআরের শাসনামলকেও তীব্র তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেসিআরের শাসন দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। তেলেঙ্গানা আজ দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে আমাদের একটি সুবর্ণ সময় আছে, আমাদের এই সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে উন্নয়নের দিক থেকে দেশের কোনও প্রান্ত যেন পিছিয়ে না থাকে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি, জি কিশান রেড্ডি, তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলসাই সৌন্দররাজন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষলগ্নে তেলেঙ্গানায় ভোট হওয়ার কথা। ভোটমুখী এই রাজ্যে কয়েক মাস ধরে বিজেপি ও শাসকদল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে বহু রাজনীতিক।এ হেন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে চারটি আসনে জেতা তেলঙ্গানায় বিজেপির প্রভাব খানিকটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসের মদতদাতাকে পুরস্কার কেন?’ জি-৭ বৈঠকে সরব মোদি

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, চাইলেন হস্তক্ষেপ