উত্তর-পশ্চিম-মধ্য ভারতে উষ্ণতম এপ্রিল, ১২২ বছরের মধ্যে গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ
- আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃমার্চ থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। পারদ চড়তে শুরু করেছিল উত্তর-পশ্চিম ভারতে। ১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম মার্চের মত এপ্রিলও উষ্ণতম। হরিয়ানা, দিল্লি,মধ্যপ্রদেশ তীব্র দাবদাহে উঠছে নাভিশ্বাস। শনিবারেই এলহাবাদ তথা প্রয়াগারাজের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৭।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ । ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দেওয়া (আইএমডি) ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য অনুসারে, ১৯০১ সালের পর এটাই উষ্ণতম এপ্রিল।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস – যা গড় তাপমাত্রার থেকে ৩.৩৫ ডিগ্রি বেশি। ২০১০ সালের এপ্রিলে রেকর্ড করা হয় ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছাপিয়ে গিয়েছে আগের রেকর্ডকে । মধ্য ভারতে এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেটি ১৯৭৩ সালে রেকর্ড করা ৩৭.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গড় থেকে বেশি।
এপ্রিল মাসেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। যা রাতের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। এপ্রিলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪৪ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে গড় তাপমাত্রার হিসেবে ১.৭৫ ডিগ্রি বেশি।
উত্তর-পশ্চিম ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, শনিবার জারি পূর্বাভাসে আইএমডি এমনটাই জানিয়েছে।
আইএমডির অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের মতে উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে “অবিরাম বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। মার্চ মাসে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রায় ৮৯% বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে এপ্রিলে ঘাটতি ছিল প্রায় ৮৩%। উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ঘাটতির কারণ হল যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাগুলি দুর্বল এবং শুষ্ক ছিল। এমনটাই বলছেন মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।
কেন ঠিক ভারতের প্রায় সর্বত্রই এত গরম?
আইএমডি বলছে ছয়টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর ভারতকে প্রভাবিত করলেও, তারা বেশিরভাগই ছিল দুর্বল। তাদের গন্তব্য উচ্চতর হিমালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর মধ্যে, শেষ তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্জা দিল্লির কিছু অংশে প্রবল বাতাস এবং রাজস্থানে এপ্রিল মাসে ধুলো ঝড়ের সৃষ্টি করেছিল।
এই বছরের এপ্রিল মাসে সারা দেশে তাপপ্রবাহ বা তীব্র তাপপ্রবাহেরসংখ্যা ছিল ১৪৬টি। যা ২০১০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। দেশের কিছু অংশ বর্তমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সারা দেশে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.০৫ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.১২ ডিগ্রি বেশি এবং মাসের চতুর্থ-সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড়।