২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসমের ‘গামোচা’কে জিআই ট্যাগ কেন্দ্রের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 78

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অসমের সংস্কৃতি ও পরিচিতির  প্রতীক ‘গামোচা’ বা ‘গামোছা’। হরেক রকমের হাতের কাজের মাধ্যমে সুদৃশ্য করে তোলা হয় অসমের এই গামছাকে। এবার সেই গামোচা পেল জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। রসগোল্লা বললেই যেমন কলকাতার কথা মনে পড়ে, চা বললেই যেমন চলে আসে দার্জিলিঙের কথা, তেমনই গামোছা বললেই আসবে অসমের কথা।

অবশ্য এই কাপড়টি তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য রূপে  জড়িত হলেও জিআই ট্যাগের জন্য অপেক্ষা করতে  হয়েছে বহু দিন। কেন্দ্রের কাছে জিআই ট্যাগের আবেদন  করার পাঁচ বছর পর তারা স্বীকৃতি পেল। বিজেপির ডবল  ইঞ্জিন সরকার থাকার পরেও অসমের স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি  বিজেপির এই উদাসীনতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মিয়া  মিউজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ওয়াকিফহাল মহলের ধারণা, বিজেপি স্থানীয় সংস্কৃতিকে  গুরুত্ব  দিতে চায় না। হিন্দি সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায়।  তাই গামোচা, লুঙি সবকিছুতেই তাদের আপত্তি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গামোচা অসমীয়া সমাজজীবনের অতি আদরের বস্ত্র। সাধারণত গামোচা চারদিকে রঙিন সুতোয় বোনা একটি সাদা কাপড়। বাংলার মানুষ সাধারণত দেহ মোছার কাজে গামছার ব্যবহার করলেও এখানকার মানুষ এটিকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সফরে গেলে গামোচা পরিয়ে সম্মান জানানো হয়েছিল তাকে। অসমীয়া সমাজে বিভিন্ন ধরনের গামোচা রয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অসমের ‘গামোচা’কে জিআই ট্যাগ কেন্দ্রের

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অসমের সংস্কৃতি ও পরিচিতির  প্রতীক ‘গামোচা’ বা ‘গামোছা’। হরেক রকমের হাতের কাজের মাধ্যমে সুদৃশ্য করে তোলা হয় অসমের এই গামছাকে। এবার সেই গামোচা পেল জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। রসগোল্লা বললেই যেমন কলকাতার কথা মনে পড়ে, চা বললেই যেমন চলে আসে দার্জিলিঙের কথা, তেমনই গামোছা বললেই আসবে অসমের কথা।

অবশ্য এই কাপড়টি তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য রূপে  জড়িত হলেও জিআই ট্যাগের জন্য অপেক্ষা করতে  হয়েছে বহু দিন। কেন্দ্রের কাছে জিআই ট্যাগের আবেদন  করার পাঁচ বছর পর তারা স্বীকৃতি পেল। বিজেপির ডবল  ইঞ্জিন সরকার থাকার পরেও অসমের স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি  বিজেপির এই উদাসীনতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মিয়া  মিউজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ওয়াকিফহাল মহলের ধারণা, বিজেপি স্থানীয় সংস্কৃতিকে  গুরুত্ব  দিতে চায় না। হিন্দি সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায়।  তাই গামোচা, লুঙি সবকিছুতেই তাদের আপত্তি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গামোচা অসমীয়া সমাজজীবনের অতি আদরের বস্ত্র। সাধারণত গামোচা চারদিকে রঙিন সুতোয় বোনা একটি সাদা কাপড়। বাংলার মানুষ সাধারণত দেহ মোছার কাজে গামছার ব্যবহার করলেও এখানকার মানুষ এটিকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সফরে গেলে গামোচা পরিয়ে সম্মান জানানো হয়েছিল তাকে। অসমীয়া সমাজে বিভিন্ন ধরনের গামোচা রয়েছে।