০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু, দেওয়া হচ্ছে শস্য বিমার টাকাও

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 208

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেউ কেউ কথা না রাখলেও, কথা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার, পূর্ব ঘোষণামতো ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হওয়ায়। কেন্দ্রের বঞ্চনায় আবাস যোজনার টাকা পাননি বাংলার মানুষ। সেই গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলার বাড়ি’ নাম দিয়ে বিকল্প প্রকল্প চালু করে নিজস্ব কোষাগার থেকে টাকা দেওয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যেই বাংলার মানুষকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এ দিন তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার ডাবগ্রামের ভিডিওকন গ্রাউন্ডে পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে প্রথম পর্বে ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরির দ্বিতীয় কিস্তির চেক জনতার হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এটা আমাদের গর্বের যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ নিজের টাকায় , ‘বাংলার বাড়ি’ (গ্রামীণ) প্রকল্পে বাংলার ১২ লক্ষ গরিব যোগ্য পরিবারকে বাড়ি তৈরি করার জন্য পরিবার পিছু দুই কিস্তিতে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিচ্ছে। এই বাবদ দ্বিতীয় কিস্তির মোট ৭২০০ কোটি টাকাও সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হল। অর্থাৎ এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আমাদের সরকার সম্পূর্ণ নিজের টাকায় মোট ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করল। এটা অত্যন্ত আনন্দের। সকলকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব। তাঁরা তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা এই বছরের ডিসেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। তাঁদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।

এ দিন পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো এ দিন থেকেই ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে। এর আগে গত ডিসেম্বর প্রথম কিস্তির ৬০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, আবাসে এক নম্বরে থাকার পরেও গত তিন বছর ধরে বাংলার দুস্থ মানুষকে কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা দেয়নি। তাই সেই গুরু দায়িত্ব আমরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছি। প্রথম পর্বের ১২ লক্ষ মানুষকে টাকা দেওয়ার পরে পরে ১৬ লক্ষ মানুষকেও টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। এমনকী তার পরেও যদি কেউ বাকি থাকলে তাদেরও বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প ছাড়াও এ দিন শস্য বিমার টাকা দেওয়ার কথাও এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, অত্যন্ত আন¨ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১ লক্ষেরও বেশি আলু চাষিকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করল। আমিও বাংলার সমস্ত কৃষক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

চলতি রবি মরশুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যেসব কৃষকের আলু চাষে ক্ষতি হয়েছিল, তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সম্পূর্ণ নিখরচায় ফসল বাংলার কৃষকরা সুবিধে পান। শস্য বিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকাটাই রাজ্য সরকার দেয়। এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে মমতা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বাংলার শস্য বিমা প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের মোট ৩৭২০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আগামী দিনেও রাজ্য সরকার যে কৃষকদের পাশে থাকবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু, দেওয়া হচ্ছে শস্য বিমার টাকাও

আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেউ কেউ কথা না রাখলেও, কথা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার, পূর্ব ঘোষণামতো ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হওয়ায়। কেন্দ্রের বঞ্চনায় আবাস যোজনার টাকা পাননি বাংলার মানুষ। সেই গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলার বাড়ি’ নাম দিয়ে বিকল্প প্রকল্প চালু করে নিজস্ব কোষাগার থেকে টাকা দেওয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যেই বাংলার মানুষকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এ দিন তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার ডাবগ্রামের ভিডিওকন গ্রাউন্ডে পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে প্রথম পর্বে ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরির দ্বিতীয় কিস্তির চেক জনতার হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এটা আমাদের গর্বের যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ নিজের টাকায় , ‘বাংলার বাড়ি’ (গ্রামীণ) প্রকল্পে বাংলার ১২ লক্ষ গরিব যোগ্য পরিবারকে বাড়ি তৈরি করার জন্য পরিবার পিছু দুই কিস্তিতে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিচ্ছে। এই বাবদ দ্বিতীয় কিস্তির মোট ৭২০০ কোটি টাকাও সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হল। অর্থাৎ এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আমাদের সরকার সম্পূর্ণ নিজের টাকায় মোট ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করল। এটা অত্যন্ত আনন্দের। সকলকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব। তাঁরা তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা এই বছরের ডিসেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। তাঁদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।

এ দিন পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো এ দিন থেকেই ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে। এর আগে গত ডিসেম্বর প্রথম কিস্তির ৬০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, আবাসে এক নম্বরে থাকার পরেও গত তিন বছর ধরে বাংলার দুস্থ মানুষকে কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা দেয়নি। তাই সেই গুরু দায়িত্ব আমরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছি। প্রথম পর্বের ১২ লক্ষ মানুষকে টাকা দেওয়ার পরে পরে ১৬ লক্ষ মানুষকেও টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। এমনকী তার পরেও যদি কেউ বাকি থাকলে তাদেরও বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প ছাড়াও এ দিন শস্য বিমার টাকা দেওয়ার কথাও এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, অত্যন্ত আন¨ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১ লক্ষেরও বেশি আলু চাষিকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করল। আমিও বাংলার সমস্ত কৃষক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

চলতি রবি মরশুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যেসব কৃষকের আলু চাষে ক্ষতি হয়েছিল, তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সম্পূর্ণ নিখরচায় ফসল বাংলার কৃষকরা সুবিধে পান। শস্য বিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকাটাই রাজ্য সরকার দেয়। এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে মমতা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বাংলার শস্য বিমা প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের মোট ৩৭২০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আগামী দিনেও রাজ্য সরকার যে কৃষকদের পাশে থাকবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।