ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ, রাজ্যবাসীকে ‘ভিখারি’, বলে কটাক্ষ

- আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
- / 8
নিজস্ব প্রতিবেদক: দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার বার নির্দেশ দিলেও জিহ্বে লাগাম টানছেন না বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়া। শনিবার রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধতে গিয়ে রাজ্যবাসীকেই ভিখারি বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি।
দুর্গাপুরে দলীয় সভায় মোদি সরকারের স্বীকৃতি আদায় করা রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলে বসেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সারাদিন মহিলারা রোদ্দুরের মধ্যে বাচ্চা কোলে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কি না মাসে ৫০০ টাকা পাব। এত ভিখারি হয়ে গিয়েছি আমরা।’
বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়ার এমন বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে ভিখারি বলে কটাক্ষ করার জন্য দিলীপের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে বলেছেন, ‘দিলীপ ঘোষের অর্থনৈতিক বোধই নেই। ওঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তা জানি না। রোটেশন অফ মানির বিষয়টি অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়রা বুঝতে পারবেন। রোটেশন অফ মানি যত হবে, অর্থনীতি ততই চাঙা হবে।’
রাজ্য বিজেপি সভাপতি থাকাকাকলীন কু-কথার স্রোত বইয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির শিক্ষিত নেতারা। একাধিক নেতা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘বেফাঁস কথা বলে বাংলার শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে দলকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষিত মানুষরা দিলীপের কুকথাকে ভালোভাবে মেনে নিচ্ছেন না।’
বিধানসভা ভোটে বঙ্গে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার পিছনে দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীদের বেলাগাম মন্তব্য অন্যতম কারণ ছিল বলেও দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে এসেছিল। যার ফলেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিন দুর্গাপুরে দলীয় সভায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পকে বিঁধতে গিয়ে ফের বেলাগাম মন্তব্য করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘এরা প্রত্যেকটা চোর। কিন্তু আপনাকে রেশন থেকে চাল দিয়েছে। কাপড় দিয়েছে। কোথাও কিছু টাকা দিয়েছে। দিদিমণি মাসে ৫০০ টাকা করে দিচ্ছেন। তার জন্য লোকে ভোট দিচ্ছেন। আর ৫ বছর ধরে তারা লুটছে। মাসে ৫০০ টাকা পাবে বলে বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে, রান্না বন্ধ করে দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছে। এত ভিখারি হয়ে গিয়েছি আজকে আমরা পশ্চিমবাংলার মানুষ। কারণ কিছু তো পায় না। যা পায় তাই ভাবে ভাল। ৫০০ টাকা হলে ঠিক আছে। এখানে সবাইকে ভিখারি তৈরি করা হচ্ছে।’