১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বাঘ’ ব্যবহার করে বুনো শূকর তাড়াচ্ছে চাষিরা

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১৩ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ডেকে চলেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। হাবড়ার নারনা গ্রামে নতুন কোনও অতিথি গেলে সন্ধ্যাবেলা ভয়ে কাবু হতেই পারে। নারনা গ্রামে দলে দলে ঢুকে পড়ছে বুনো শূকর। গ্রামের চাষিদের ফসল নষ্ট করে একাকার করছে তারা। কিন্তু এদের ভয় দেখাবে কে? অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রামের চাষিরা নিজেদের জমিতে বাঁশ লাগিয়ে মাইকের ব্যবস্থা করেছেন। সেখানেই বাজছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আওয়াজ।

চাষিদের মতে, আর কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। ওই গ্রামের ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই কৃষিজীবী। সারাদিন মাঠে কাজ করার পর সারারাত জমি পাহারা দিতে হচ্ছে তাদেরকে। বুনো শূকরের দল এসে নষ্ট করছে বাঁধাকপি, শিম এমনকি আলুও। এমনভাবে তারা ফসল নষ্ট করছে, যা দেখলে মনে হবে দুষ্টুমি করে কেউ এমন কাজ করেছে। এমনিতে বুনো শূকররা জঙ্গলেই থাকে। ওই গ্রামে কোনও জঙ্গল নেই। তাও কেন শূকররা তাদের জমির দিকে ধেয়ে আসছে, তা বুঝতে পারছেন না চাষিরাও।

চাষিদের মতে মাইকিং করে সম্পূর্ণভাবে শূকর তাড়ানো যায়নি। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি খানিকটা ভালো। বন দফতরের সাহায্য চাইছেন চাষিরা। শুদ্ধধন ঘোষ নামে এক চাষির ২০ হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে এই শূকরদের তাণ্ডবে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে সত্যিকারের বাঘ থাকলে আমরা ভয় না পেয়ে হয়তো খুশিই হতাম।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘বাঘ’ ব্যবহার করে বুনো শূকর তাড়াচ্ছে চাষিরা

আপডেট : ১৩ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ডেকে চলেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। হাবড়ার নারনা গ্রামে নতুন কোনও অতিথি গেলে সন্ধ্যাবেলা ভয়ে কাবু হতেই পারে। নারনা গ্রামে দলে দলে ঢুকে পড়ছে বুনো শূকর। গ্রামের চাষিদের ফসল নষ্ট করে একাকার করছে তারা। কিন্তু এদের ভয় দেখাবে কে? অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রামের চাষিরা নিজেদের জমিতে বাঁশ লাগিয়ে মাইকের ব্যবস্থা করেছেন। সেখানেই বাজছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আওয়াজ।

চাষিদের মতে, আর কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। ওই গ্রামের ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই কৃষিজীবী। সারাদিন মাঠে কাজ করার পর সারারাত জমি পাহারা দিতে হচ্ছে তাদেরকে। বুনো শূকরের দল এসে নষ্ট করছে বাঁধাকপি, শিম এমনকি আলুও। এমনভাবে তারা ফসল নষ্ট করছে, যা দেখলে মনে হবে দুষ্টুমি করে কেউ এমন কাজ করেছে। এমনিতে বুনো শূকররা জঙ্গলেই থাকে। ওই গ্রামে কোনও জঙ্গল নেই। তাও কেন শূকররা তাদের জমির দিকে ধেয়ে আসছে, তা বুঝতে পারছেন না চাষিরাও।

চাষিদের মতে মাইকিং করে সম্পূর্ণভাবে শূকর তাড়ানো যায়নি। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি খানিকটা ভালো। বন দফতরের সাহায্য চাইছেন চাষিরা। শুদ্ধধন ঘোষ নামে এক চাষির ২০ হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে এই শূকরদের তাণ্ডবে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে সত্যিকারের বাঘ থাকলে আমরা ভয় না পেয়ে হয়তো খুশিই হতাম।