নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭ মে পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে শান্তনু

- আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 11
পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে ইডি এজলাসে পেশ করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সিটি সেশন কোর্টের তরফে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে দাবি করা হয়,-‘ ৩০০ জনের তালিকার পাশাপাশি, ২৬ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা শান্তনুকে দেওয়া হয়েছিল। এতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে ‘। শান্তনু সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। ইডি সূত্রে খবর, দিনমজুরদের দিয়ে জোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন শান্তনু। তাঁদের দিয়ে জোর করে চেকবুকে সই করিয়ে নিতেন। তারপর দিনমজুরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দুর্নীতির টাকা লুকিয়ে রাখতেন শান্তনু।শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জনের চাকরিপ্রার্থীর যে তালিকা মিলেছিল তার বাইরেও ২৬ জনের তালিকা পেয়েছে ইডি। সেটি প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা।
এই ২৬ জনের চাকরি করে দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন শান্তনু।ইডি-র তদন্তে প্রকাশ , শান্তনু নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কালো টাকা সাদা করার জন্য অন্যদের কোম্পানিও ব্যবহার করেছে। অন্য একজনের একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দিতেন শান্তনু। এবং সেই কোম্পানির অ্যাকাউন্টকে কালো টাকা সাদা করার জন্য ফান্ড রুট হিসাবে ব্যবহার করতেন শান্তনু। কিন্তু এই ভাবে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কোনও ব্যাঙ্ক আধিকারিক কিংবা কর্মীর যোগসাজস রয়েছে কিনা? তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।
গত ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন নিগমের কর্মী ছিলেন শান্তনু। কিন্তু তিনিই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, আদালতে তেমনই দাবি করে ইডি। ধৃত শান্তনুর বিরুদ্ধে কে বা কারা ছিলেন, আর কাদের অ্যাকাউন্টে শান্তনু এভাবে টাকা রেখেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আগামী ১৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটি সেশন কোর্টের তরফে।