ঢাকায় আবাসনের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আহতের সংখ্যা ১০০ পার করল

- আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার
- / 10
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের পুরনো ঢাকায় বিআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্রমশই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১৯। আহতের সংখ্যা ১০০ পার করেছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টে থেকে সাড়ে চারটে নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে পুরনো ঢালার গুলিস্তান অঞ্চলের সাততলা ভবনটি কেঁপে ওঠে। মৃত ১৯ জনের মধ্যে দুজন মহিলা বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় যেকোনও মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে গোটা ভবনটি।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও অজানা। উদ্ধার কাজে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি নেমেছে সেনা। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজ্যপাল মুহাম্মদ আবদুল হামিদ।
সাফায়েত হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বিস্ফোরণটি এত শক্তিশালী ছিল যে, মনে হচ্ছিল গোটা পৃথিবী যে কেঁপে উঠল।
প্রায় ১১ টি দমকলের ইঞ্জিন ২০০ জন কর্মীকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দমকল দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে দুজন মহিলা। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আবাসনের পাশে থাকা বাস পার্কিং অঞ্চলটি। ১৬টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকার্য জারি আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে।
বিস্ফোরণের পিছনের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ভবনের ভিতরে অবৈধভাবে সঞ্চিত রাসায়নিক থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই ভবনের মধ্যে বেশিরভাগ অফিস ও ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের কংক্রিট কেটে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার খান্দেকর গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে অনুমান গুলিস্তান ভবনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই গবেষণাগারে ঠিক এইভাবেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনাকে ঘিরে উৎসাহী জনতারা ভিড় জমান। অনেককেই ভবনটির ছবি, ভিডিও তুলতে দেখা যায়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লাঠিচার্জ করে।