০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ. আমেরিকার বৃহত্তম মসজিদ আর্জেন্টিনায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 20

বিশেষ প্রতিবেদন: আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বুয়েনেস আইরেস দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। মুসলিমরা দেশটির বৃহত্তম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। দি ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট-২০১০ সালের সমীক্ষা মতে, দেশটিতে ৫ লক্ষ মুসলিম বসবাস করে। অবশ্য পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, দেশটিতে ১০ লক্ষের মতো মুসলিম রয়েছে। বর্তমানে আর্জেন্টিনার জনসংখ্যা ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮১।

 

দেশটির অধিকাংশ মুসলিম রাজধানী বুয়েনেসে বাস করেন। ১৯৮৩ সালে ইরান সরকারের সহায়তায় আত তাওহিদ মসজিদ স্থাপিত হয়। ১৯৮৫ সালে দেশটিতে সুন্নি মুসলিমদের প্রথম মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার স্থাপিত হয়। আর্জেন্টিনায় ইসলামি শিক্ষার প্রসার, আলোচনা সভার আয়োজন, ইসলামি শরিয়াহ সম্মত বিবাহের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যাবলী সেন্টারের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়। মুসলিম শিশুদের মধ্যে ইসলামি শিক্ষা প্রসারে আরব আর্জেন্টিনিয়ান ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়।

 

বর্তমানে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে ১৫০টিরও বেশি ইসলামিক সেন্টার আছে। এর তত্ত্বাবধানে অসংখ্য মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ পরিচালিত হয়। ১৯৯৬ সালে সউদি বাদশাহর সহায়তায় কিং ফাহাদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ মসজিদ স্থাপিত হয় আর্জেন্টিনায়। প্রথমে এর আয়তন ছিল ২০ হাজার বর্গমিটার। ১৯৯২ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেনিমে সউদি সফরের পর ওই মসজিদের জন্য ৩৪ হাজার বর্গমিটার জায়গার ব্যবস্থা করেন। অত্যাধুনিক মসজিদ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।

 

মসজিদের আওতায় লাইব্রেরি, দুটি স্কুল ও বিশাল গার্ডেন রয়েছে। ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব লাতিন আমেরিকার মহাসচিব ড. মুহাম্মদ ইউসুফ হাজের জানান, আর্জেন্টিনায় মুসলিম অভিবাসীদের অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে দেশটিতে মুসলিমদের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে। অবশ্য আজও আর্জেন্টিনার মুসলিমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলেও জানান আইওএলএ-র মহাসচিব।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দ. আমেরিকার বৃহত্তম মসজিদ আর্জেন্টিনায়

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২২, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বুয়েনেস আইরেস দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। মুসলিমরা দেশটির বৃহত্তম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। দি ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট-২০১০ সালের সমীক্ষা মতে, দেশটিতে ৫ লক্ষ মুসলিম বসবাস করে। অবশ্য পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, দেশটিতে ১০ লক্ষের মতো মুসলিম রয়েছে। বর্তমানে আর্জেন্টিনার জনসংখ্যা ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮১।

 

দেশটির অধিকাংশ মুসলিম রাজধানী বুয়েনেসে বাস করেন। ১৯৮৩ সালে ইরান সরকারের সহায়তায় আত তাওহিদ মসজিদ স্থাপিত হয়। ১৯৮৫ সালে দেশটিতে সুন্নি মুসলিমদের প্রথম মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার স্থাপিত হয়। আর্জেন্টিনায় ইসলামি শিক্ষার প্রসার, আলোচনা সভার আয়োজন, ইসলামি শরিয়াহ সম্মত বিবাহের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যাবলী সেন্টারের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়। মুসলিম শিশুদের মধ্যে ইসলামি শিক্ষা প্রসারে আরব আর্জেন্টিনিয়ান ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়।

 

বর্তমানে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে ১৫০টিরও বেশি ইসলামিক সেন্টার আছে। এর তত্ত্বাবধানে অসংখ্য মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ পরিচালিত হয়। ১৯৯৬ সালে সউদি বাদশাহর সহায়তায় কিং ফাহাদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ মসজিদ স্থাপিত হয় আর্জেন্টিনায়। প্রথমে এর আয়তন ছিল ২০ হাজার বর্গমিটার। ১৯৯২ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেনিমে সউদি সফরের পর ওই মসজিদের জন্য ৩৪ হাজার বর্গমিটার জায়গার ব্যবস্থা করেন। অত্যাধুনিক মসজিদ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।

 

মসজিদের আওতায় লাইব্রেরি, দুটি স্কুল ও বিশাল গার্ডেন রয়েছে। ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব লাতিন আমেরিকার মহাসচিব ড. মুহাম্মদ ইউসুফ হাজের জানান, আর্জেন্টিনায় মুসলিম অভিবাসীদের অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে দেশটিতে মুসলিমদের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে। অবশ্য আজও আর্জেন্টিনার মুসলিমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলেও জানান আইওএলএ-র মহাসচিব।