ভরসা রাখুন, পাশে আছেন মমতা, বার্তা শিক্ষামন্ত্রী
সিবিআইয়ের কাছে তথ্য নিয়ে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করবে এসএসসি

- আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
- / 47
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: সিবিআইয়ের কাছে তথ্য নিয়ে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করবে এসএসসি। শুক্রবার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একই সঙ্গে এদিন তিনি বলেন,‘ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে ভরসা রাখুন ।
এদিন বিকাশভবনে চাকরিহারাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক এবং এসএসসি’র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ বসুর সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে তথ্য নিয়ে আপলোড করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে চাকরি বাতিল নিয়ে মামলা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও (এসএসসি) আদালতে রিভিউ পিটিশন করবে।
পূর্ব ঘোষণা মতোই বিকাশ ভবনে হয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে ছিলেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদল, এসএসসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। আইনি পথে চাকরির জট কাটাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিকভাবেই চান যোগ্য চাকরিহারারা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান। সেই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
চাকরিহারাদের বার্তা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ভরসা রাখুন, পাশে আছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আইনি পথেই মিলবে সমাধান। একজন শিক্ষকেরও চাকরি যাবে না। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় একথা বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আন্তরিকভাবেই সব দিক খোলা রেখে রাজ্য সরকার চাইছে এই জট কাটাতে।
এদিন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ১২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এই মিটিংয়ে। এর আগে চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পরে কার্যত চরম হতাশা প্রকাশ করেন তাঁদের মধ্যে অনেকে। সব মিলিয়ে কার্যত দিশাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের এখন একটাই দাবি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দিক সরকার। তাহলে হয়তো তাদের চাকরি রক্ষা করা সম্ভব? সেই বিষয়েও এসএসসির ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস মিলেছে।
চাকরিহারাদের বক্তব্য, আগামী দিনে কী হবে সেটা বুঝতে পারছি না। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। আগামী মাসের প্রথমে বেতন পাবেন কি না সেটা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। তুমুল অনিশ্চয়তা। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে অনেকের।