০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিট প্রবেশিকায় নজরকাড়া ফল তুফানগঞ্জের ইরফান হাবিবের 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 13

রুবায়েত মোস্তাফা, কোচবিহার: মেধা এবং অধ্যাবসায় যে চরম দারিদ্রতাকেও হার মানাতে পারে সেটাই  প্রমাণ করেছেন ইরফান হাবিব। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার সীমান্ত গ্রাম দেওচড়াইয়ের প্রান্তিক চাষি  আবদুল সোবাহানের ছেলে ইরফান হাবিব এবছরের নিট প্রবেশিকায় ৬৮৫ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ৫৯৪ র‌্যাঙ্ক করেছে। ইরফান হাবিবের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা দেওচড়াই গ্রামের মানুষজন।

 

‘পুবের কলম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরফান হাবিব জানিয়েছেন, তাদের দু-বিঘা মাত্র চাষের জমি। আর রয়েছে ছোট্ট একটি পোল্ট্রি ফার্ম। সেখান থেকে যাও বা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় ইরফান হাবিবের বাবাকে। হাবিবরা দুই ভাই এবং এক বোন। হাবিবের মা হাসনা বিবি গৃহবধূ। হাবিবের বড় ভাই আহসান হাবিব বর্তমানে কলকাতায় বিটেক করছেন। ছোটবেলা থেকেই ইরফান এবং তার দাদা আহসান দুজনেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

 

মেধাবী দুই সন্তানের লেখাপড়ায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে তারজন্য বাবাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হত। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ইরফান দেওচড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপরে নবম শ্রেণীতে ইরফান ভর্তি হন ইসলামপুরের ঝারবাড়িতে অবস্থিত আল-আমীন মিশনে। সেখান থেকে মাধ্যমিকে ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন ইরফান।

 

এরপরে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন আল-আমীন মিশনের উলুবেড়িয়াতে। সেখানে ২০২১ সালে ৯৪শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। সে বছর নিটে আশানুরূপ র‌্যাঙ্ক করতে পারেননি। এরপর ভালো ফলের লক্ষ্যে শুরু হয় কঠোর পরিশ্রম। একবছর অনলাইন কোচিং এবং আল-আমীন মিশনের বিভিন্ন মক টেস্টে অংশ নিয়ে ২০২২-এ নিট পরীক্ষায় বসেন ইরফান।গত ৭ সেপ্টেম্বর নিটের ফল প্রকাশ পেলে দেখা যায় ৬৮৫ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ৫৯৪ র‌্যাঙ্ক দখল করেছে ইরফান।ইরফান বলেন, এখন কাউন্সেলিং বাকি রয়েছে। আশা করছি এইমস ভূবনেশ্বরে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাব।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিট প্রবেশিকায় নজরকাড়া ফল তুফানগঞ্জের ইরফান হাবিবের 

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

রুবায়েত মোস্তাফা, কোচবিহার: মেধা এবং অধ্যাবসায় যে চরম দারিদ্রতাকেও হার মানাতে পারে সেটাই  প্রমাণ করেছেন ইরফান হাবিব। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার সীমান্ত গ্রাম দেওচড়াইয়ের প্রান্তিক চাষি  আবদুল সোবাহানের ছেলে ইরফান হাবিব এবছরের নিট প্রবেশিকায় ৬৮৫ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ৫৯৪ র‌্যাঙ্ক করেছে। ইরফান হাবিবের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা দেওচড়াই গ্রামের মানুষজন।

 

‘পুবের কলম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরফান হাবিব জানিয়েছেন, তাদের দু-বিঘা মাত্র চাষের জমি। আর রয়েছে ছোট্ট একটি পোল্ট্রি ফার্ম। সেখান থেকে যাও বা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় ইরফান হাবিবের বাবাকে। হাবিবরা দুই ভাই এবং এক বোন। হাবিবের মা হাসনা বিবি গৃহবধূ। হাবিবের বড় ভাই আহসান হাবিব বর্তমানে কলকাতায় বিটেক করছেন। ছোটবেলা থেকেই ইরফান এবং তার দাদা আহসান দুজনেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

 

মেধাবী দুই সন্তানের লেখাপড়ায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে তারজন্য বাবাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হত। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ইরফান দেওচড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপরে নবম শ্রেণীতে ইরফান ভর্তি হন ইসলামপুরের ঝারবাড়িতে অবস্থিত আল-আমীন মিশনে। সেখান থেকে মাধ্যমিকে ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন ইরফান।

 

এরপরে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন আল-আমীন মিশনের উলুবেড়িয়াতে। সেখানে ২০২১ সালে ৯৪শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। সে বছর নিটে আশানুরূপ র‌্যাঙ্ক করতে পারেননি। এরপর ভালো ফলের লক্ষ্যে শুরু হয় কঠোর পরিশ্রম। একবছর অনলাইন কোচিং এবং আল-আমীন মিশনের বিভিন্ন মক টেস্টে অংশ নিয়ে ২০২২-এ নিট পরীক্ষায় বসেন ইরফান।গত ৭ সেপ্টেম্বর নিটের ফল প্রকাশ পেলে দেখা যায় ৬৮৫ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ৫৯৪ র‌্যাঙ্ক দখল করেছে ইরফান।ইরফান বলেন, এখন কাউন্সেলিং বাকি রয়েছে। আশা করছি এইমস ভূবনেশ্বরে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাব।